বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ হতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন এই রাজ্য সভাপতি, ঠাঁই মিলল না কর্মসমিতিতেই
বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ হতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, ঠাঁই মিলল না কর্মসমিতিতেই
মঙ্গলবার বিজেপির তরফে রাজ্য কর্মসমিতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হল। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেশি কিছু নাম যেমন যুক্ত হয়েছে, তেমনই এমন অনেক নাম নেই। অনেক নাম নিয়েই বিজেপিতে জল্পনা শুরু হয়েছে। যে সমস্ত নাম বাদ পড়েছে রাজ্য কর্মসমিতিতে, তার মধ্যে অন্যতম নাম অবশ্যই তথাগত রায়। কেননা কয়েকদিন আগেও তাঁর সাংবিধানিক পদ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এবং মুখ্যমন্ত্রী মুখ হওয়া নিয়ে জল্পনার পারদ চড়েছিল।
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি নেই কর্মসমিতিতে
তথাগত রায় মেঘালয়ের রাজ্যপাল পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বাংলায় ফিরেছেন। তিনি বাংলায় ফেরার আগেই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। এমনকী বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির এই ইচ্ছাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন আর এক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা। বিমানবন্দরে নেমেও উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন তথাগত।
তথাগত রায়ের সক্রিয় হওয়ার পথে বাধা?
তারপর তথাগত রায় বিজেপিতে সক্রিয় হয়ে উঠতে বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও। তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এরপর বার্তা দেন, তাঁরা মোদী মুখকে সামনে রেখে লড়বেন। মুখ্যমন্ত্রী কে হবে, তা স্থির হবে ভোটের ফলাফল তাঁদের পক্ষে হলে।
তথাগত রায়ের জায়গা হয়নি দিলীপের কমিটিতে
তবে তথাগত রায়কে রাজ্য কর্মসমিতিতে কোনও একটা বড় সাম্মানিক আসন দেওয়া হবে, এমনটা মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক মহল তা ভাবেনি। তথাগত রায়ের কোনও জায়গাই হয়নি বিজেপির রাজ্য কর্ম সমিতিতে। তিনি বাইরেই রয়ে গিয়েছেন।
তথাগতের মতো নাম নেই চন্দ্র বসুরও
মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির পূর্ণাঙ্গ রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়। ৯৬ জনের রাজ্য কমিটি ছাড়াও আমন্ত্রিতদের ১১০ জনের তালিকাও প্রকাস করা হয়। প্রকাশ করা হয় বিশেষ আমন্ত্রিতের ২১ জনের তালিকা। কোনও তালিকাতেই তথাগত রায় নেই। নেই চন্দ্র বসুও। সহ সভাপতি থেকে বঙ্গ বিজেপিতে তিনি এই মুহূর্তে একজন সাধারণ সদস্য।
জ্যোতির্ময়ী আছেন, বৈশাখী নেই কর্মসমিতিতে
এবার যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে ২৫ শতাংশেরও বেশি নতুন মুখ আনা হয়েছে। স্থান পেয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়, শুভ্রাংশু রায়, শঙ্কুদেব পাণ্ডার মতো তৃণমূলত্যাগী নেতারা। কিন্তু তথাগত রায়, চন্দ্রকুমার বসুদের বিজেপির বেঙ্গল ইউনিটে রাখা হয়নি। জ্যোতির্ময়ী শিকদারকে রাখা হয়েছে কর্মসমিতিতে, কিন্তু রাখা হয়নি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমন অনেক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত হয়েছে বিজেপির কর্মসমিতির সদস্য বাছতে গিয়ে।
বিজেপি শিবিরে মহাফাটল! বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর শিবির ছেড়ে বিদ্রোহী সুদীপের শিবিরে