শুভেন্দুকে জানালেও উত্তর দেননি, আহত বিজেপি কর্মীর ছবি রিটুইট করে অন্তর্কলহ ফের সামনে আনলেন তথাগত
শুভেন্দুকে জানালেও উত্তর দেননি, আহত বিজেপি কর্মীর ছবি রিটুইট করে অন্তর্কলহ ফের সামনে আনলেন তথাগত
নির্বাচনে হারের পরেই কঙ্কালটা বেরিয়ে পড়ছে বিজেপির (bjp)। একদিকে যেমন বুথস্তরের সংগঠন না থাকার দুর্বলতা প্রকাশ হয়ে পড়ছে, অন্যদিকে তৃণমূলের (trinamool congress) হামলায় আহত হওয়ার কর্মীদের পাশে না দাঁড়ানো অভিযোগও প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। সেই ঘটনাকে রিটুইট করে দলের অন্তর্কলহকে ফের সামনে এনেছেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় (tathagata roy)।
তথাগত রায় বনাম স্বপন দাশগুপ্ত
মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার পরেই তাঁকে ট্রোজান হর্স বলে টুইট করেছিলেন তথাগত রায়। বলেছিলেন, সর্বভারতীয় নেতাদের পাশাপাশি রাজ্য নেতাদের সঙ্গে সম্পর্কস্থাপন করে দলের ভিতরকার সব খবর জেনে তিনি ফিরে গিয়েছেন তৃণমূলে। আর মমতার কাছে সব ফাঁস করে দিচ্ছেন। তাঁর অনুগতরা বিজেপির অন্দরে রয়ে গিয়েছেন বলেও ইঙ্গিত করেছিলেন তথাগত রায়। যদিও এই কথা মানতে চাননি বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেছেন, অনেক নতুন নেতা আন্তরিকতার সঙ্গে দলে যোগদান করেছেন, নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাঁদের সবাইকে ট্রোজান হর্সের সঙ্গে তুলনা করা উচিত হবে না।
তথাগত রায় বনাম কৈলাশ বিজয়বর্গীয়
মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরতেই বিজেপির অনেক পুরনো নেতা-কর্মী মুকুল রায়ের সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কেও নিশানা করেছিলেন। কেননা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে সবসময় মুকুল রায়ের সঙ্গেই দেখা যেত। এক বিজেপি কর্মী কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছিলেন, মমতা পিসি এই ভেদো বেড়ালটাকে তৃণমূলে নিয়ে নাও, মালটা বন্ধুকে না পেয়ে হতাশ হতে পারে। কেননা সারাদিন সে মুকুলের সঙ্গে ফিস ফিস করত। সেই কথাকে সমর্থন করে নিজের অবস্থান জানিয়েছিলেন তথাগত রায়।
তথাগত রায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী
এদিন তথাগত রায় বিজেপি কর্মী দিবাকর দেবনাথের একটি ছবি রিটুইট করেন। সেখানে ওই বিজেপি কর্মী লেখেন, তিনি দুই পা বাড়িয়ে রেখেছিলাম। হয়তো তাদের মতো কর্মীদের দরকার নেই তাই বার বার ফোন কেটে দিয়েছেন। এইসব নেতারা তৃণমূলের থেকে আসা নেতাদের খুশি করতে ব্যস্ত তাই তাদের কথা শোনার সময় নেই। তাহলে তারা কেনো ওইসব নেতাদের নেতা মনে করে জীবন হাতে নিয়ে লড়াই করবেন, প্রশ্ন করেন ওই কর্মী। সঙ্গে তিনি হোয়াটসঅ্যাপের একটি স্ক্রিনশটও দেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ১৩ জুন রাতে তাঁর ওপর হামলার বিষয়টি তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে জানিয়ে বলেছিলেন, কথা বলতে চান। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তাতে কোনও উত্তর দেননি বলে অভিযোগ। পরে ওই কর্মী লেখেন, তৃণমূলের লোকেরা শুভএন্দু অধিকারীর ওপরে দোষ দিচ্ছে। কিন্তু হামলা করেছিল তারাই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা সম্পর্কে বলা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের অনুগামীদের ঝামেলার জেরেই এই ঘটনা।
হামলার পরে পাশে নেই নেতৃত্ব
বিজেপি কর্মী দিবাকর দেবনাথ অপর একটি টুইটে বলেছেন, বিজেপি আইনজীবী তথা এবারের নির্বাচনে এন্টালির প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের প্রসঙ্গ টেনেছেন। সেখানে বলেছেন উনি নাকি ঘড়ছাড়া বিজেপি কর্মীদের জন্য হাইকোর্ট লড়াই করছেন, হাইকোর্টের অর্ডারে সবকর্মীদের ঘরে ফেরাতে পুলিশ নিরাপত্তা দেবে। কিন্তু ১০ জুন বনগাঁয় বাড়িতে ঢুকে ৩ বিজেপি কর্মীকে পেটায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাদের দায় কেউ নেয়নি।
শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল! সন্ত্রাস ইস্যুতে কেন্দ্রকে দিতে পারেন রিপোর্ট