প্রশান্ত কিশোরই দ্বন্দ্ব লাগাচ্ছে বিজেপিতে! অর্জুনের নিশানায় বাণ হানলেন তথাগত
প্রশান্ত কিশোরই দ্বন্দ্ব লাগাচ্ছে বিজেপিতে! অর্জুনের নিশানায় বাণ হানলেন তথাগত
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মুখ হতে চেয়ে মুকুল দিলীপদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী রূপে অবতীর্ণ হতে চাইছেন তথাগত রায়। সই আঙ্গিকেই বিজেপিতে আরও একটি গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। যার জেরে রাজনৈতিক মহল মনে করছে বিজেপিতে চাপ বাড়বে মুকুল রায় এবং দিলীপ ঘোষদের উপর। আর এই দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখার জন্য তথাগত নিশনা করেছেন প্রশান্ত কিশোরকে।
বঙ্গ বিজেপিতে নতুন সংকট তথাগত!
সম্প্রতি মেঘালয়ের রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে নয়া প্রতিদ্বন্দ্বী রূপে সাংবিধানিক সমস্ত দায় দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলে বঙ্গ রাজনীতিতে সক্রিয় হতে হাজির হচ্ছেন তথাগত রায়। মুকুল-দিলীপ দ্বন্দ্বের সবে সমাপ্তি ঘটেছে, এরই মধ্যে তথাগত রায়ের সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরা বঙ্গ বিজেপিতে নতুন সংকটের সৃষ্টি্ করবে বলে একাংশের ধারণা।
তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিশানা
বঙ্গ রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প মুখ হয়ে ওঠার চেষ্টায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদকে আদর্শ করতে চলেছেন। সে কারণে বিজেপিতে যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য তথাগতও অর্জুন সিংয়ের মতো প্রশান্ত কিশোরকে দায়ী করেছেন। তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরই বিজেপিতে অশান্তি লাগিয়ে রাখতে চাইছেন বলে তাঁর অভিযোগ।
মুকুল-দিলীপের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা লাগিয়ে রাখতে
তথাগত সাফ জানিয়েছেন তিনি অশান্তি বাড়াতে বিজেপিতে আসতে চাইছেন না। প্রশান্ত কিশোরকে নিশানায় তিনি বলেছেন, তৃণমূলের ভোট কৌশলী বিজেপিতে ঝগড়া লাগানোর একটা প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। এটা তৃণমূলের রাজনৈতিক কৌশল। মুকুল-দিলীপের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা লাগিয়ে রাখতে পারলে আদতে তৃণমূলের লাভ।
সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরলে তথাগতকে নিয়ে কৌশল
বঙ্গ রাজনীতির নতুন আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠা তথাগত রায় মনে করেন, তিনি রাজনীতিকে ফিরলে সেখানেও আরও একটা চরিত্র পেয়ে যাবেন প্রশান্ত কিশোর। ফলে বিজেপিতে অশান্তি পাকিয়ে রাখার একটা চেষ্টা তিনি করে যেতে চাইবেন। কিন্তু তাঁর এই অভিষন্ধি সফল হবে না। কেননা তিনি চান না বিজেপিতে অশান্তি লাগাতে। বিজেপি যদি চায়, তবেই তিনি এগোবেন।
তথাগত বিজেপিতে সক্রিয় হলে ইগোর লড়াই বাধবে
তবে আর যাই হোক না কেন, তথাগত বিজেপিতে সক্রিয় হলে ইগোর লড়াই বাধবে বা বাধানো হবে, এটা নিশ্চিত। রাহুল সিনহা ইতিমধ্যেই তথাগত রায়ের ফিরে আসার বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এমনিতে দিলীপ-মুকুলকে নিয়ে ল্যাজেগোবরে হয়ে যাচ্ছে বিজেপি। প্রাক্তন রাজ্য় সভাপতি তথাগত রায় আসা মানে বিপত্তি বাড়বেই বিজেপিতে।
তথাগতের কাছে বিজেপির মুখ হয়ে ওঠা কঠিন সম্ভাবনা
তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন ২০০৬ সাল পর্যন্ত। তাঁর আমলে বিজেপি ৫-৬ শতাংশের দল হিসেবেই গণ্য হত। কিন্তু মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি বাংলায় এখন ৪০ শতাংশের দলে পরিণত হয়েছে। তাই তথাগতের কাছে এটা কঠিন সম্ভাবনা হয়ে উঠেছে।
বিজেপি আদতে যেমন মুখ চাইছে, তেমনটাই তথাগত
পক্ষান্তরে, বিজেপি আদতে যেমন মুখ চাইছে, তার সমস্ত গুণ রয়েছে তথাগতের মধ্যে। যা দিলীপ ঘোষ বা মুকুল রায়দের মধ্যে নেই। দিলীপ ঘোষ যেমন মেঠো রাজনীতিতে এই মুহূর্তে বিজেপিতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী, তেমনই মুকুল রায় সংগঠনে। কিন্তু ভদ্রলোক মুখ তথাগত, শিক্ষিত-মার্জিত-রুচিশীল আবার আরএসএস-বিজেপির ভাবাদর্শে প্রাণিত পুরুষ।
রাজ্যপাল হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার নজির
প্রয়োজনে তিনি রাজনীতিতে ফিরতে উৎসাহী বলেও জানিয়েছেন তথাগত। অর্থাৎ বঙ্গ বিজেপিকে দিলীপ-মুকুলদের লড়াই কঠিন করে দিতে আসছেন তথাগত। রাজ্যপাল হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার নজির আগেও রয়েছে। সেক্ষেত্রে তথাগতের ক্ষেত্রে তা নজিরবিহীন হবে না। শীলা দীক্ষিতের পর সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসতে চাইছেন তথাগত। অবশ্যই তা সম্ভব, যদি বিজেপি এমনটা চায়।
প্রশ্নের মুখে সোনিয়া-রাহুলের নেতৃত্ব! দলের খোলনলচে বদলের দাবিতে সরব ২৩ কংগ্রেস নেতা