রাজ্যসভার ছবি-ভিডিও ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ মমতার! বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি বললেন তথাগত
কৃষি বিল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস শেষ দেখে ছাড়বে মোদী সরকারের। এই বার্তা তাঁরা সংসদে-গান্ধীমূর্তির পাদদেশ থেকেই দিয়েছিল তৃণমূল। এরপর অধিবেশন শেষে তৃণমূল জানিয়ে দিলে, তাঁদের প্রচারের অস্ত্র হবে রাজ্যসভার ছবি ও ভিডিও। এই ঘোষণার পরই তৃণমূলকে একহাত নিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়।

অসভ্যতা-ইতরামি তৃণমূলের প্রচারের অস্ত্র
তিনি টুইট নিশানায় বলেন, রাজ্যসভায় কিছু সাংসদের অসভ্যতা ও ইতরামি নাকি তৃণমূলের প্রচারের অস্ত্র হবে! বুঝতে পারছি না! তৃণমূল কি মনে করে যে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির মূল্যবোধকে তারা এতটাই বিকৃত করতে পেরেছে? নাকি বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি?

বাংলার মানুষ আর বোকা নন, সাবধান
তথাগতের কথায়, বাংলার মানুষ সবই বুঝতে পারছে। তারা আর ভুল করবেন না। রাজ্যসভায় অসভ্যতা করেছে তৃণমূল। সেই তারাই আবার রাজ্যসভার তুলকালাম-কাণ্ডকে ইস্যু করছে। মানুষ আর তা মানবে না। বাংলার মানুষকে আর বোকা সাজিয়ে রাখা যাবে না।
|
প্রচারে ঝড় তুলতে রাজ্যসভার ছবি-ভিডিও
উল্লেখ্য, কৃষি বিল ধ্বনি ভোট পাস করানো নিয়ে কী ঘটেছিল রাজ্যসভার ভিতরে, সেই ছবি ও ভিডিও প্রচারের মূল অস্ত্র করতে চাইছে তৃণমূল। সাংসদদের মোবাইলে তোলা অপ্রকাশিত কিছু ভিডিও, কিছু ছবি ও ক্লিপিংস তৃণমূল প্রকাশ করে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে।

রাজ্যসভার ছবিই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ব্রহ্মাস্ত্র
তাদের দাবি, কৃষি বিল পাস করানোর দিন রাজ্যসভায় তৈরি হওয়া ধুন্ধুমার পরিস্থিতির ছবি রাজ্যস,ভা টিভিতে তেমনভাবে দেখানো হয়নি। সেই ছবি ও ভিডিও-ই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ব্রহ্মাস্ত্র করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তারা দেখাবে কীভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে মোদী সরকার।

বিনাশকালে সত্যিই বিপরীত বুদ্ধি হয়েছে তৃণমূলের
তৃণমূলের কথায়, আমরা প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরব। আমজনতা তা বিচার করবে। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রচার চালানো হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তথাগত রায় জানিয়েছেন, নিজেদের কু-কীর্তি মানুষের সামনে তুলে ধরে তৃণমূল বুঝিয়ে দিচ্ছে বিনাশকালে সত্যিই বিপরীত বুদ্ধি হয়েছে তাদের।

|
সরকারি স্পনসর ঘুষের সংস্কৃতি শুরু করেছে তৃণমূল
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রাদায়িক রাজনীতি নিয়েও কটাক্ষ করেন তথাগত রায়। তিনি লেখেন, ইমামদের ভাতা, ক্লাবগুলিকে অনুদান এবং হিন্দু পুরোহিতদের জন্য ভাতা দিয়ে সরকারি স্পনসর ঘুষের সংস্কৃতি শুরু করেছিলেন। সর্বশেষ সংযোজন হ'ল দুর্গা পূজা কমিটিগুলোকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান!
কেন চুপ অমিত? বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনের আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে ফের টুইট রাজ্যপাল ধনখড়ের