নাম না করে তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে বাবুলকে খোঁচা তসলিমার
নাম না করে তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে বাবুলকে খোঁচা তসলিমার
ভারতের যে কোনও সামাজিক-রাজনৈতিক ইস্যুতে নিজের বক্তব্য স্পষ্টভাবে রাখেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন৷ শেষ কয়েক বছরে নিজের বক্তব্য রাখার জন ফেসবুক পোস্টকেই বেছে নেন তসলিমা৷ সম্প্রতি বাবুল সুপ্রিয়ের দলবদলের পরই একটি ফেসবুকে একটি পোস্টে রাজনৈনিক নেতাদের এই নীতিহীনতার সমালোচনা করেছেন জন্মসূত্রে বাংলাদেশী এই লেখিকা৷
রবিবার একটি ফেসবুক পোস্টে তসলিমা লেখেন, 'লক্ষ্য করেছি রাজনৈতিক দলগুলো সিনেমার নায়ক নায়িকা যারা রাজনীতির কিছুই জানেনা তাদের দলের সদস্য করতে পছন্দ করে। এবং যারা বিরোধী রাজনৈতিক দল ছেড়ে এসেছে, টাকা পয়সা এবং সুযোগ সুবিধের লোভ দেখিয়ে সেই বিশ্বাসঘাতকদের দলে টানতে পছন্দ করে। দলের নেতা নেত্রীর ভালো কোনও রাজনৈতিক আদর্শ না থাকলে আদর্শহীন সদস্য নিয়ে তাদের আপত্তি থাকে না। এসব হাবিজাবিকেই আমরা '' গণতন্ত্র'' বলে মেনে নিই।' (তসলিমার ফেসবুক পোস্টকে কোন রকম এডিট করা হয়নি।)
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই পোস্টে নাম না করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া বাবুল সুপ্রিয়কে খোঁচা দিলেও লক্ষ্য কিন্তু আরও অনেকই৷ কারণ পোস্টে তসলিমা শুধু রাজনৈতিক নেতাদের দলবদলের দিকেই আঙুল তোলেননি সঙ্গে তাদের দিকেও আঙুল তুলেছেন যারা তাদের সেই সুযোগ করে দিচ্ছেন৷ বিশেষ করে 'দলের নেতা নেত্রীর ভালো কোনও রাজনৈতিক আদর্শ না থাকলে আদর্শহীন সদস্য নিয়ে তাদের আপত্তি থাকে না' সুলভ বাক্য যে রাজ্যেরই বিশেষ একজনকে উদ্দেশ্যে করে লিখে থাকতে পারেন তসলিমা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷
প্রসঙ্গত রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই এদল থেকে ওাল লাফিয়ে বেড়াচ্ছেন নেতানেত্রীরা৷ একুশের ভোটের আগে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল এখন তৃণমূলে ফেরা বা নতুন করে ঝাঁপ দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলছে৷ পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সাধারণত বুদ্ধিজীবিদের পাশেই থাকেন৷ ছবি, সাহিত্য, সিনেমা সহ অন্য যে কোনও শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষদের বাকস্বাধীনতা ও অন্যান্য অধিকারের সপক্ষে প্রশ্ন তোলেন, বিভিন্ন সময় পাশে দাঁড়ান৷ কিন্তু খুবই অবাকভাবে তসলিমার মতো একজন বিশ্ববিখ্যাত লেখিকার পাশে কখনও দাঁড়ানোর কথা ভাবেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি তসলিমারই অভিযোগ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কলকাতা বইমেলাতেও নিষেধাজ্ঞা চাপে তাঁর আসা যাওয়ায়৷ স্বাভাবিকভবেই কোনও ইস্যুতেই মমতাকে রেয়াত করতে চান না তসলিমাও।