কলকাতার ঘাটে ঘাটে তর্পণের ভিড়, পিছিয়ে নেই জেলাও, মর্ত্যে আগমন দেবীর
গঙ্গার ঘাটে ঘাটে শুরু হয়ে গিয়েছে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ।
আজ থেকে শুরু পুজোর দিন গোনা। ভোর ৪ টে বাজতেই রেডিওতে বেজে ওঠে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গুরুগম্ভীর কণ্ঠে, 'আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর। ধরণীর বহিরাকাশে আন্তরিত মেঘমালা।' শোনা যায় আনন্দময়ী মহামায়ার পদচারণার ধ্বনি। তারপরই গঙ্গার ঘাটে ঘাটে শুরু হয়ে যায় পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ।
পূর্বপুরুষকে স্মরণ
এই দিনটিতেই পূর্বপুরুষদের স্মৃতি তর্পণে ব্রতী হয় হিন্দুরা। গঙ্গার ঘাটে ঘাটে এদিন তর্পণের ভিড়। আবার অনেকে শান্তির উদ্দেশ্যে তর্পণ করে থাকেন। কলকাতা ও পাশ্ববর্তী জেলাগুলিতে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে দেখা যায় অগণিত মানুষের ভিড়।
পঞ্জিকায় বদলেছে সময়
এবার অবশ্য সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই পূর্বপুরুষদের জল দিয়ে তর্পণ করতে পারা যাবে না। পঞ্জিকা অন্তত তেমনটাই বলছে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে এবার মহালয়ার তর্পণ শুরু হয়েছে সকাল ১১টা বেজে ৩২ মিনিট থেকে। আবার গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা মতে তর্পনের সময় শুরু সকাল ১০টা বেজে ৪৭ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড থেকে।
ঘাটে ঘাটে ভিড়
দেবীর বোধন থেকে অষ্টমীপুজোর অঞ্জলী কিংবা বিসর্জন। দুই পঞ্জিকায় সব ক্ষেত্রেই সময়ের একটু হেরফের হয়েছে। তবে তাতে বিশেষ একটা ফারাক নেই। সকাল থেকেই বাবুঘাট, বাগবাজার সারদা মায়ের ঘাট, আর্মেনিয়ান ঘাটের জনস্রোত বলছে, সত্যিই যেন দেবীর আগমনে প্রকৃতির বুকে বেজে ওঠে ‘আলোর বেণু'।
[আরও পড়ুন:আজ মহালয়া, দেবীপক্ষের সূচনায় দূর্গা-আরাধনার আগমনী ]
পিছিয়ে নেই জেলার ঘাটগুলিও
কৈলাশ থেকে দেবীর মর্ত্যে আগমন ঘটেছে। কলকাতার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের শ্যাওড়াফুলি, মঙ্গলপাণ্ডে ঘাট, গান্ধী ঘাট প্রভৃতি ঘাটে উপচে পড়ছে ভিড়। এছাড়াও হুগলি, হাওড়া জেলার একাধিক ঘাটে সকাল থেকেই তর্পণ শুরু হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: 'সময়ের' আগেই শুরু! কেন এই তর্পণ, কী বলছে পুরাণ]
মর্ত্যে আসছেন দেবী
পুরান মতে এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দুর্গা আজ পা রাখবেন মর্ত্যলোকে। অশুভ অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হওয়ার পর চারদিকে শুরু হয় অশুভ শক্তির পরাক্রম। এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। তখন দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা।