আসানসোলে একযোগে শাসানিতে অভিযুক্ত পুলিশ ও তৃণমূল! মমতার অভিযোগ জাতীয় মহিলা কমিশনে
আসানসোলে একযোগে শাসানিতে অভিযুক্ত পুলিশ ও তৃণমূল! মমতার অভিযোগ জাতীয় মহিলা কমিশনে
পুরভোট (Municipal election) ঘোষণার আগে আসানসোলে (Asansol) তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তথা সিপিআই নেতা। শাসক শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন আসানসোলের কংগ্রেস এবং বিজেপি নেতারাও। সেই পরিস্থিতিতে এবার একযোগে পুলিশ (police) ও তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ সিপিএম (CPIM)নেতার। জাতীয় মহিলা কমিশনে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও সব কিছুই অস্বীকার করা হয়েছে পুলিশ ও তৃণমূলের তরফে।
পুলিশ ও তৃণমূলের যোগসাজসে হুমকি
স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূলের হুমকি দেখেছে সাধারণ মানুষ। এখন পুলিশ তাদের সাহায্য করতে নেমেছে। বিষয়টি নিয়ে জামুড়িয়া থানার পাশাপাশি আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট, জেলাশাসকের পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বাম শিবিরের তরফে।
জামুড়িয়া থানার এসআই-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ
সিপিএম নেতা মনোজ দত্ত সংবাধ মাধ্যমকে জানিয়েছেন ৮ জানুয়ারি তিনি বাড়িতে না থাকার সময়ে জামুড়িয়া থানার এসআই শঙ্কর দাস, একজন সিভিক পুলিশ এবং শাসকদলের এক নেতা নিয়ে বাড়িতে এসে তাঁর খোঁজ করেন। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী মমতা দত্তকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, মনোজ দত্তকে সাবধানে থাকতে বলবেন। পাশাপাশি তাঁকেও (মমতা দত্ত) সাবধানে থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
জাতীয় মহিলা কমিশনে অভিযোগ
আসানসোলের অন্তর্গত জামুড়িয়ার সিপিএম নেতা-কর্মীদের অভিযোগ স্থানীয় থানার তরফে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। স্থানীয় সিপিএম নেতা মনোজ দত্তের স্ত্রী মমতা দত্ত বিষয়টি নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগে বলেছএুন, আসানসোলের পুরভোটে সিপিএম প্রার্থীর হয়ে প্রচার না করার জন্য পুলিশ হুমকি দিচ্ছে। শুধু মমতা দত্তই নন, আরও বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীও একই অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ উড়িয়েছে শাসক দল ও পুলিশ
সিপিএম-এর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের পাল্টা দাবি, অস্তিত্ব না থাকায় প্রচারের আলোয় থাকতেই এই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে বলা হয়েছে, এই অভিযোগ মিথ্যা। তবে বাড়িতে পুলিশ যাওয়ার কথা প্রকারন্তরে স্বীকার করে বলা হয়েছে, প্রার্থী সম্পর্কে কোনও তথ্যের ভেরিফিকেশনের জন্যই পুলিশ সেখানে গিয়েছিল।