শুভেন্দুর নিশানায় 'সততার প্রতীক' মমতা! নন্দীগ্রাম থেকে মেরেছি ছক্কা, বাউন্ডারি পেরিয়ে একেবারে ভবানীপুরে
শুভেন্দুর নিশানায় 'সততার প্রতীক' মমতা! নন্দীগ্রাম থেকে মেরেছি ছক্কা, বাউন্ডারির বাইরে, পালিয়ে ভবানীপুরে
ভবানীপুরে শেষ দিনের প্রচারের বিজেপির (BJP) তরফে কার্যত ঝড় তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। তিনি বললেন ভবানীপুর থেকে পালিয়ে নন্দীগ্রাম গিয়েও রক্ষা করতে পারেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) নিজেকে যে সততার প্রতীক বলে দাবি করে, তারও এদিন কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
ভবানীপুর থেকে পালিয়ে নন্দীগ্রামে
শুভেন্দু অধিকারী কটাক্ষ করে বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভবানীপুরের হাওয়া খারাপ দেখেই তিনি নন্দীগ্রামে লড়াই করতে গিয়েছিলেন। আর অন্যদিকে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে হারাতে গিয়ে নিজে হেরে চলে এসেছেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্লজ্জ রাজনৈতিক ব্যক্তি বলে আক্রমণ করেন। বলেন, এবার প্রথম যিনি উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে বলছেন, আমাকে তোমরা একটা একটা করে ভোট দাও, না হলে পাবে না। শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন করেন, এত মধু কোথায় আছে? তিনি প্রশ্ন করেন, মধু কিসে আছে?
প্রিয়ঙ্কাকে নিজের পদ দেওয়ার আহ্বান
শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে প্রশ্ন করেন, আপনি নাকি ত্যাগের প্রতীক। অথচ নিজেই ঘুরে ঘুরে বলছেন, আমাকে মুখ্যমন্ত্রী থাকার জন্য ভোট দাও। এব্যাপারে নিজের কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলবেন, প্রিয়ঙ্কা জিতলে চেয়ারটা তাঁকেই দেওয়ার জন্য।
মেরেছি ছক্কা...
শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন, মেরেছি ছক্কা, একেবারে বাউন্ডারির বাইরে, এরপর ভবানীপুরে পালিয়ে এসেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে নাকি গলা টিপে ধরা হয়েছিল।
২৯ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রকাশ
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন নন্দীগ্রামে যেখানে ১০০ ভোট পড়ার কথা সেখানে নাকি ৫০০ ভোট পড়েছিল। এছাড়াও ভিভিপ্যাট না গোনার অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, নন্দীগ্রাম নিয়ে যে রিট পিটিশন ফাইল করা হয়েছে, তা ২৯ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি তা প্রকাশ করবেন। তিনি বলেন, সব থেকে বড় যদি মিথ্যাবাদী কেউ থাকে, তাহলে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সততার প্রতীক?
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, যাঁরা ভবানীপুরের বাসিন্দা গত ৪০-৫০ বছর ধরে তাঁরা দেখেছেন, হরিশ চ্যাটার্জি আর হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটের ৩৫ টি প্লটের মালির এই ব্যানার্জি পরিবার। শান্তিনিকেতনের মতো প্রাসাদ উঠল, আর তাঁরাই দাবি করেন সততার প্রতীক।
সরাসরি দিদিকে বলতে কালীঘাটে
দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল মগরাহাট পশ্চিমের পরাজিত প্রার্থী মানস সাহার দেহ নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েছিলেন। তারা তো দিদিকেই সরাসরি বলতে গিয়েছিলেন, কেন রাজ্যে এত খুন হয়। দিদিকে বলতে তো দিদিই বলেছিলেন। তিনি বলেন এলাকার হরিশ চ্যাটার্জি আর হরিশ মুখার্জি স্ট্রিট দিয়ে কোনও শববাহী গাড়ি যেতে পারে না। কোনও প্রতিমা যেতে পারে না। কোনও ধর্মীয় শোভাযাত্রা করতে দেওয়া হয় না ওই দুই রাস্তায়। এলাকার মানুষের ওপরে অত্যাচার করেন। যেখানে তৃণমূল হামলা চালাচ্ছে, সেখানে বাংলার বেটি (প্রিয়ঙ্কা) আদালতে লড়াই করে ঘরছাড়াদের ঘরে ফিরিয়েছেন।