মমতার মন্তব্যের পরে মহুয়া তৃণমূলে আর কত দিন? শুভেন্দুর পরে সৌমিত্রের মন্তব্যে জল্পনা
বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) ওপরে চটে যাওয়ার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। বিজেপির (BJP) অনুমান এই পরিস্থিতিতে মহুয়া মৈত্র তৃণমূলে (Trinamool Congress) বেশিদিন থাকতে পারবেন না। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান (Soumitra Khan) মনে করেন, অদূর ভবিষ্যতে তিনি গেরুয়া শিবিরেই যোগ দেবেন।

তৃণমূলে চিরকার অক্ষত ভাইপোর জায়গা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে সৌমিত্র খান বলেছেন, তৃণমূলে ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গা চিরকাল অক্ষত থাকবে। তারপরেই তিনি বলেছেন, মহুয়া মৈত্র তৃণমূলে বেশিদিন থাকতে পারবেন না। সৌমিত্র খান, ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেছেন, দুবছর পরে তাঁকে টিকিটও দেওয়া হবে না।

অর্পিতা ঘোষের প্রসঙ্গ উল্লেখ
এব্যাপারে তিনি তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, অর্পিতা ঘোষকে যেভাবে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, একইভাবে মহুয়া মৈত্রকেও সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেন। সৌমিত্র আরও বলেছেন, সাংসদ হিসেবে মহুয়া মৈত্র ভাল বক্তা। মহুয়া মৈত্র দুবছর পরে বিজেপিতেই যোগ দেবেন, বিজেপি তার প্রতিক্ষায় রয়েছে। যদিও এই মুহূর্তে মহুয়া মৈত্র বিজেপির কড়া সমালোচক হিসেবেই পরিচিত। জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে হাজিরা দিয়েই মহুয়া মৈত্র চলে গিয়েছেন গোয়ায়।

মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শুভেন্দু
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেছিলেন, এই মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের অপমান করে নিজের ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেন। তাঁর তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পিছনেও এবিষয়টি অন্যতম কারণ ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, মানুষের আত্মসম্মান রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বোধবুদ্ধি নিয়েও প্রশ্ন করেছিলেন তিনি।

নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মমতার নিশানায় মহুয়া
প্রসঙ্গত, গত বুধবার কৃষ্ণনগরে নদিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি মহুয়া মৈত্রের ওপরে চটে গিয়ে মন্তব্য করেন, 'মহুয়া এখানে একটা স্পষ্ট মেসেজ দিতে চাই। কে কার পক্ষে বিপক্ষে দেখার দরকার নেই। সাজিয়ে, গুছিয়ে লোক পাঠিয়ে ইউটিউবে বা ডিজিটালে দিয়ে দিলাম! এই রাজনীতি একদিন চলতে পারে, কিন্তু চিরদিন নয়। যখন নির্বাচন হবে, তখন দল ঠিক করবে কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, কে নয়। প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করে বলেছিলেন কোনও ধরনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না।