বলেছিলাম 'রেড', হট্টগোলে হয়ে গিয়েছে 'রেপ', আত্মপক্ষ সমর্থনে সাফাই তাপস পালের
আরও পড়ুন : আমাদের ছেলেদের ঘরে ঢুকিয়ে দেব, সিপিএম মহিলাদের ধর্ষণ করে চলে যাবে, প্রকাশ্য হুমকি তাপস পালের
আরও পড়ুন: ধর্ষণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য: ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাপস পালের কাছে কৈফিয়ৎ তলব তৃণমূল কংগ্রেসের
'রেড'
হল
'রেপ'!
ভিডিও
ফুটেজে
তো
স্পষ্ট
উচ্চারণে
তাপস
পালের
মুখে
শোনা
যাচ্ছে
"ঘরে
আমাদের
ছেলে
ঢুকিয়ে
দেব,
রেপ
করে
চলে
যাবে।"
যদি
এই
বাক্যেই
'রেপ'
শব্দের
জায়গায়
রেড
শব্দটি
ব্যবহার
করা
হয়,
তাহলে
দাঁড়ায়,
"ঘরে
আমাদের
ছেলে
ঢুকিয়ে
দেব,
রেড
করে
চলে
যাবে।"
এখন
যদি
সত্যিই
তাপসবাবু
রেড
বলে
থাকেন
তাহলেও
এক্ষেত্রে
২টি
সমস্যা
রয়েছে।
প্রথমত, এই বাক্যটির গঠনেই ত্রুটি রয়েছে। এই বাক্যের কোনও মানেই দাঁড়ায় না। অতএব বাঙালি হিসাবে তাপস পালের বাংলা ভাষার জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তাতে অবশ্য কোনও দণ্ডবিধির আওতায় পড়বেন না তাপস।
কিন্তু দ্বিতীয় সমস্যাটি অত্যন্ত গুরুতর। যদি তিনি বলেই থাকেন, যে তৃণমূলের ছেলেদের ঢুকিয়ে রেড করাবেন, তাহলেও প্রশ্ন উঠছে তার কী সে অধিকার রয়েছে? অর্থাৎ তিনি তৃণমূলের সাংসদ ঠিকই কিন্তু তিনি তো পুলিশ নন। কোনও পরোয়ানা ছাড়া তৃণমূলের ছেলে পাঠিয়ে তল্লাশিইবা চালাবেন কোন অধিকারে। তিনি বা তাঁর ছেলেদের সেই এক্তিয়ারও নেই। অতএব অনধিকারপ্রবেশের অভিযোগও উঠতে পারে তাঁর বিরুদ্ধে।
এক
ব্যক্তি,
ভিন্ন
যুক্তি
যে
তাপস
পাল
বলছেন,
ছেলেদের
দিয়ে
রেড
করাব
বলেছিলাম
কিন্তু
হইচই
হট্টগোলের
ফলে
মানুষ
সেটাকে
রেপ
শুনেছে।
বাংলা
এক
দৈনিক
সংবাদপত্রে
প্রকাশিত
খবর
অনুযায়ী
তিনিই
আবার
বলেছেন,
আমি
আজকে
বলিনি,
১২
মে
ভোটের
দিন
বলেছি।
ওই
দিন
চৌমাহায়
সিপিএমের
হার্মাদদের
বাচ্চা
ছেলেকে
লাথি
মারতে
দেখেছি।
সন্তানসম্ভবা
মহিলার
পেটে
লাথি
মারতে
দেখে
ঠিক
রাখতে
পারিনি
নিজেকে।
তাই
কিছু
কথা
বলি।
আজকে
টিভিতে
যা
দেখানো
হচ্ছে
তা
ওরা
সম্পাদিত
ও
বিকৃত
করে
তারপর
প্রচার
চালাচ্ছে।
আমার
বিরুদ্ধে
কুৎসা
করার
জন্যই
এসব
করা
হচ্ছে।
উল্লেখ্য,
আসল
ঘটনাটি
ঘটেছে
১৪
জুন।
ততদিনে
নির্বাচন
শেষ।
ফলে
কোনও
নির্বাচনী
প্রচারেই
ছিলেন
না
তাপস
পাল।
তৃণমূলকে
যে
নিঃশর্থ
ক্ষমা
চেয়ে
চিঠি
দিয়েছেন
তাপস
পাল
তাতেও
মিথ্যা
তথ্য
প্রদানের
অভিযোগ
উঠেছে
তাপস
পালের
বিরুদ্ধে।
একদিকে তাপসবাবু বলছেন, হই হট্টগোলের জেরে তাঁর বলা 'রেড' শব্দটি 'রেপ' বলে মনে হচ্ছে। অন্যদিকে তিনিই আবার বলছেন, একটি টিভি চ্যানেল তাঁর ফুটেজকে সম্পাদিত ও বিকৃত করে দেখাচ্ছে। তাঁর ভাবমূর্তি কলুষিত করতে এটি বিরোধীদের চক্রান্ত। তাপস পালের নিজের দুই বয়ানেই অসঙ্গতি রয়েছে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তৃণমূল নেতৃত্বকে যে বয়ান দেন দেখা যাক তাতে আত্মপক্ষ সমর্থনে আরও নতুন কি কি সাফাই দেন তিনি।
সাধারণ
আচরণবিধি
লঙঘণ
তাপস
পাল
নিজেই
বলেছেন,
১২
মে
ভোটের
দিন
তিনি
একথা
জানিয়েছেন।
এদিন
কৃষ্ণনগর
লোকসভা
কেন্দ্রের
ভোটগ্রহণ
ছিল।
আর
এই
কেন্দ্র
থেকেই
প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করতে
দাঁড়িয়েছিলেন
তাপস
পাল।
নির্বাচন
কমিশনের
সাধারণবিধি
অনুযায়ী,
যে
কেন্দ্র
ভোটগ্রহণ
রয়েছে,
সেই
কেন্দ্রের
কোনও
প্রতিদ্বন্দ্বি
ভোটগ্রহণের
দিন
পর্যন্ত
৪৮
ঘন্টা
কোনও
প্রকাশ্য
সমাবেশ
করতে
পারেন
না।
কিন্তু
এক্ষেত্রে
ভিডিও
ফুটেজে
স্পষ্ট
প্রকাশ্য
সমাবেশ
করে
এই
সব
মন্তব্য
করেছেন
তাপস
পাল।
অতএব
নির্বাচণের
সাধারণ
আচরণবিধিও
ভঙ্গ
করেছেন
তিনি।
পকেটের
'মাল'
আইনি
না
বেআইনি?
ধর্ষণ
নিয়ে
বিতর্কিত
মন্তব্যের
পাশাপাশি
বিরোধীদের
প্রকাশ্যে
গুলি
করে
মারার
কথাও
জানিয়েছেন
তাপস
পাল।
তিনি
বলেছেন,
"বিরোধীদের
বলছি...আমি
অনেক
বড়
রংবাজ,
আমি
প্রচুর
মাস্তানি
করেছি।
আমি
পকেটে
মাল
নিয়ে
ঘুরি,
...আমি
নিজে
রিভলবার
দিয়ে
গুলি
করে
চলে
যাব।
আমার
মা,
বোন,
বাবা,
বাচ্চা
কারোর
গায়ে
যদি
হাত
পরে
আমি
ছেড়ে
কথা
বলব
না।"
একজন
সাংসদ
যে
ভাষায়
কথা
বলছেন
হুমকি
দিচ্ছেন,
গুলি
করে
খুন
করার
কথা
বলছেন
বুক
চিতিয়ে,
তা
নিন্দনীয়
এবং
দণ্ডনীয়
তো
বটেই।
প্রশাসনিক
দিক
থেকে
প্ররোচনামূলক
মন্তব্যের
জন্য
অবশ্যই
সুয়ো
মোটো
মামলা
দায়ের
করা
হতে
পারে।
কিন্তু
আর
একটি
প্রশ্নও
উঠছে।
যে
'মাল'
অর্থাৎ
রিভলভার
পকেটে
রাখার
দাবি
করছেন
তাপস
পাল
তার
কী
আইনি
বৈধতা
রয়েছে।
না
থাকলে
যে
রিভলভার
দিয়ে
বিরোধীদের
মারার
হুমকি
দিচ্ছেন
তাপস
তা
রাখার
অপরাধে
অস্ত্র
আইনের
গেড়োয়
পড়তে
পারেন
তাপস।