
'মানিক ভট্টাচার্য নয় টাকা পাঠানো হত বোর্ড অফিসে', ইডি অফিসে হাজিরার আগে ভোল বদল তাপসের
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভোল বদল মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের। পঞ্চমবার ইডির দফতরে হাজিরা দিতে যাওয়ার আগে তাপস মণ্ডল দাবি করেছেন মানিক ভট্টাচার্য নয় টাকা যেত বোর্ড অফিসে। এদিকে গতকালই তিনি দাবি করেছিলেন ডিএলএড কলেজে অফ লাইনে ভর্তির জন্য ছাত্র পিছু ৫০০০ টাকা নেওয়া হত। সেই টাকা যেত মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। মহিষবাথানের অফিসে টাকা এবং ফাইল নিয়ে যাওয়ার জন্য লোক পাঠাতেন মানিক ভট্টাচার্য।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভোল বদল
২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভোল বদল করলেন মনিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। বৃহস্পতিবার পঞ্চমবার ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে বলেন, ডিএলএড কলেজে অফলাইনে ছাত্র ভর্তির টাকা যেত বোর্ড অফিসে। সেটা মানিক ভট্টাচার্যের কাছে যেত কিনা সেটা তাঁর জানা নেই। তিনি বলেছেন, আমার অফিস থেকে টাকা যেত বোর্ডের অফিসে। অথচ গতকাল তিনি বলেছিলেন ডিএলএড কলেজে অফলাইনে ছাত্র ভর্তির পর মাথা পিছু ৫০০০ টাকা করে নেওয়া হত। সেই টাকা যেত মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। মানিক ভট্টাচার্য নিজে সেই টাকা আর ফাইল নিতে লোক পাঠাতেন।

আর কি বলেেছন তাপস
তাপস মণ্ডল আরও বলেছেন,ডিএলএড কলেজে ভর্তির লেট ফাইন হিসেবে ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। ৩০০ টাকা অনলাইনের ফি, তার সঙ্গে যোগ করা হত ৪ হাজার ৭০০ টাকা। অনলাইন ক্লাসের জন্য চুক্তি হয় এডুক্লাসেস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে আর অনলাইন ক্লাসের জন্য পড়ুয়া পিছু ৫০০ টাকার চুক্তি হয়েছিল। এই টাকা নিয়ে নিয়ম ভাঙা হয়েছে কিনা সেটা বোর্ড জানে। টাকা নেওয়ার পর কী করা হয়েছিল সেটা মানিক ভট্টাচার্য জানেন বলে জানিয়েছেন তাপস মণ্ডল। কারণ যা সিদ্ধান্ত তা মানিক ভট্টাচার্যই নিয়েছেন।

তাপস মণ্ডলের কাছে রিপোর্ট তলব
চাকরি চুরি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ছাত্র ভর্তির জন্য কোটি কোটি টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ২১ কোটি টাকার হিসেব জানতেই ফের ইডি তলব করে তাপস মণ্ডলকে। গতকালই তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল। প্রায় ম্যারাথন জেরার পর তিনি অসুস্থ জানিয়ে ইডির জেরা থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার ফের তাঁকে নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। সেই মত তিনি হাজিরা দেন। ২১ কোটি টাকার হিসেব জানতেই আবারও তাপস মণ্ডলকে জেরা করতে চাইছে ইডি।

মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে চাকরি চুরির অভিযোগ
চাকরি বিক্রির ঘটনায় বিপুল আর্থিক লেনদেন হয়েছে। আর তাতে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি এবং বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য ছাড়াও জড়িত রয়েছেন তাঁর ছেলে। তাঁর ছেলের সংস্থায় টাকা যেত। এমনকী মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেও বিপুল টাকা জমা পড়ত বলে জানতে পেরেছে তদন্ত কারীরা। এই ঘটনায় তাপস মণ্ডলের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে টাকার আদান প্রদান হত বলে জানতে পেরেছে ইডি।
চেন্নাইয়ে বাংলার রাজ্যপালের পারিবারিক অনুষ্ঠানে ঢাক বাজালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাইরাল ভিডিও