'দেখা না হওয়াই ভাল, কিসের আবার সৌজন্য', তাপস-সুদীপ বরফ গলেনি এখনও
দুজনেই তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা, পোড় খাওয়া রাজনীতিক। তাপস রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় উভয়েই দলের বেশ পরিচিত মুখ। একদিকে যখন শীর্ষ নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রাশ টানতে চাইছে, তখন শীর্ষস্তরের এই দুই নেতার মধ্যে সংঘাত এখনও স্তি
দুজনেই তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা, পোড় খাওয়া রাজনীতিক। তাপস রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় উভয়েই দলের বেশ পরিচিত মুখ। একদিকে যখন শীর্ষ নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রাশ টানতে চাইছে, তখন শীর্ষস্তরের এই দুই নেতার মধ্যে সংঘাত এখনও স্তিমিত হল না। সেই দুর্গাপুজো থেকে সংঘাতের শুরু।
বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও তাপস রায়ের মন্তব্যে বেশ বোঝা যাচ্ছে, এখনও তাঁর অবস্থান একই। সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার কোনও ইচ্ছাই নেই তাঁর। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শনিবার তাপস রায় ফের সুদীপ সম্পর্কে প্রশ্ন কার্যত বিরক্ত হন। সামনাসামনি দেখা করা তো দূরের কথা, তাপসের কথায়, দেখা না হওয়াই ভাল। বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ও হয়নি তাঁদের মধ্যে। তাপসের অভিযোগ তাঁর মা মারা যাওয়ার পরও যাঁরা খোঁজ নেননি, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে ইচ্ছুক নন তিনি।
যদিও সুদীপের সঙ্গে সঙ্গে আর কার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি, তা স্পষ্ট নয়। তাপসের দাবি স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদ তাঁকে একটা ফোন তো দূরের কথা মেসেজ করেও খবর নেননি। তাপস সাফ জানান, তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই রাজনীতি করেন। অন্যদিকে যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেন তিনি।
তিনি যা বলেছেন, তা নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই তাপস রায়ের গলায়। তিনি মনে করেন, তিনি কোনও অনৈতিক কথা বলেননি। নিজেকে দলের অনুগত সৈনিক বলে উল্লেখ করে, তাপস দাবি করেন, তৃণমূলের অনুগত হিসেবে কিছু নৈতিক প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। দলের ভালোর জন্যই নাকি এমনটা করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে তাপস রায়ের সংঘাত শুরু পুজোর সময়। তাপস দাবি করেছিলেন, দুর্গা পুজোয় এক বিজেপি নেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন সুদীপ, যেকানে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। এই বলে সাংসদকে কটাক্ষ করার পর সুদীপের জবাব ছিল, হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভৌকে হাজার।
আবার সেই শুনে তাপস নিজেকে ডোবারম্যানের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। সুদীপের প্রত্যুত্তর ছিল, ডোবারম্যান তো কুকুরই। সেই তরজাই চলছে এখনও। আর এর মধ্যেই গত কয়েকদিন আগেই এই তাপস রায়ের পাশে দাঁড়ান মদন মিত্র।সংবাদমাধ্যমের দাবি করেছিলেন, জীবন বাজি রেখে রাজনীতি করে এসেছেন তাপস রায়। এমনকি সাফারি-স্যুটের রাজনীতি করেন না বলেও আক্রমণ শানান কামারহাটির বিধায়ক। এমনকি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নরমে গরমে নিজের জায়গা বুঝিয়ে দেন তিনি।
TRS MLA Poach মামলাতে বড়সড় স্বস্তি KCR সরকারের! বড় নির্দেশ হাইকোর্টের