‘কপালকুণ্ডলা’র কাহিনি হুগলিতে! সিদ্ধিলাভের আশায় নরবলির চেষ্টা তান্ত্রিকের
তান্ত্রিক সাধনায় সিদ্ধিলাভের চেষ্টায় নরবলির পরিকল্পনা ভেস্তে শেষ মুহূর্তে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে কোনওরকমে নাবালকের রক্ষা। মনে করিয়ে দেয় ‘কপালকুণ্ডলা’র নবকুমারের কথা।
সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হারমানায় এই কাহিনি। নরবলি দিয়ে এক তান্ত্রিকের সাধনায় সিদ্ধিলাভের চেষ্টা। শেষ মুহূর্তে উপস্থিত বুদ্ধির জোরে কোনওরকমে নাবালকের রক্ষা। মনে করিয়ে দেয় 'কপালকুণ্ডলা'র নবকুমারের কথা। কালীপুজোর আগেই চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা হুগলির চুঁচুড়ার দেবীপুরে।
মা কালীর কাছে নরবলি দিয়ে সাধনায় সিদ্ধিলাভের আশায় পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছিল তান্ত্রিক। নাবালককে বাড়িতে ধরে নিয়ে এসে বলি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু নাবালকের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে ভেস্তে যায় সমস্ত পরিকল্পনা। বাথরুম যাওয়ার নাম করে পালিয়ে আসে দীপঙ্কর দাস নামে ওই নাবালক।
দীপঙ্কর পালিয়ে আসতেই লোক জানাজানি হয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা চড়াও হয় তান্ত্রিকের বাড়িতে। তান্ত্রিককে গণপ্রহার দেয় স্থানীয় জনতা। ভাঙচুর চালানো হয় তার বাড়িতে। এরপর চুঁচুড়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তান্ত্রিক ও তান্ত্রিক-পত্নীকে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত তান্ত্রিকের নাম স্বপন অধিকারী।
চন্দননগর সুরের পুকুর এলাকার বাসিন্দা নাবালক দীপঙ্কর দাস। নিজের বাড়িতে তাকে নিয়ে আসে তান্ত্রিক। বাড়ির পাশেই মন্দিরের তন্ত্রসাধনার উপকরণ সাজিয়ে রেখেছিল সে। শুরু হয়েছিল পুজো। দীপঙ্করকে বলি দেওয়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। তখনই বিষয়টি বুঝতে পেরে যায় দীপঙ্কর। এরপর বাথরুমে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যায় সে। ওই নাবালকের কথা শুনেই স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে, চড়াও হয়।