ভাঙা হবে টালা ব্রিজ, বিকল্প রাস্তার সন্ধানে রেলের সাথে আলোচনা রাজ্য সরকারের
৫৭ বছরের পুরানো টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিকল্প রাস্তার খোঁজে রেল আধিকারিক দের সাথে যৌথ ভাবে ব্রিজ চত্বর পরিদর্শনে গেলেন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন আধিকারিকরা। সামনের মাসের জানুয়ারিতেই শুরু হবে টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ। কাজ শেষ হতে পারে আগামী বছর জানুয়ারিতে। তাই বর্তমানে যান-চলাচলের জন্য বিকল্প রাস্তার খোঁজে রাজ্যের পূর্ত দফতর, নগর উন্নয়ন পর্ষদ, কলকাতা পুরসভা, ও ভারতীয় রেলের আধিকারিকরা মিলে সন্ধান চালালো ব্রিজ সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায়।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, আরজিকর হাসপাতালের সামনের যানজট কাটাতে চিত্পুর লকগেট ফ্লাইওভারটি ব্যবহার করতে আগ্রহী রাজ্য পরিবহন দফতর। কিন্তু ওই ফ্লাইওভারটি রেলের নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকায় তাদের সাথেও আলোচনা চলছে।
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর বিকল্প রাস্তা তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো রেলপথ। তাই রেল লাইনকে বিকল্প পথ হিসাবে বেছে নিয়ে রেল লাইনের দুদিকে লেভেল ক্রসিং তৈরি করে যান চলাচল শুরু হয়েছিলো। এবার সেই পথে হেঁটে টালা ব্রিজ বন্ধের পর বিকল্প রাস্তার জন্য একই উপায় বেছে নিলো রাজ্য পরিবহন দফতর। ব্রজ দয়াল সাহা রোডের সাথে সেতপুকুর রোড, এবং প্রাণকৃষ্ণ মুখার্জি রোডের সাথে শ্যামবাজারের কাছে বিটি রোডের যোগাযোগ স্থাপন করতে লেভেল ক্রসিং তৈরির ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে পরিবহন দফতরের আধিকারিকরা। এই বিষয়ে রেলের সাথেও কথাবার্তা চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, লেভেল ক্রসিংয়ে শুধু ভারী যান চলাচলের ক্ষেত্রে থাকবে সময়ের বিধিনিষেধ। শুধুমাত্র রাত ৯টা থেকে সকল ৮টা পর্যন্ত ভারী পণ্যবাহী ট্রাক ওই পথ দিয়ে চালাচল করতে পারবে। দিনের বাকি সময় বাস চলাচল করবে এই বিকল্প রাস্তা দিয়ে। যদিও এ বিষয়ে এখনো পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে টালা ব্রিজের ভবিষ্যৎ কি হবে সে নিয়ে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্তে চূড়ান্ত শিলমোহর দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর তরফে। এই বিষয়ে তিনি ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট ও চেয়ে পাঠিয়েছেন তিনি।