দল বিরোধী কাজ হলে ব্যবস্থা নিন! নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে আর কী কী বললেন মমতা
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি, বিধায়ক, সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (trinamool congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৈঠকে দলবিরোধী কাজে যুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠক
দলের বিরুদ্ধে এখনও সরাসরি কিছু না বললেও, রাজ্যে সব থেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়েই। মিডিয়ার ফোকাসটাও যেন তাঁরই দিকে। কিন্তু তৃণমূল কার্যত জানিয়ে দিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। এখন শুভেন্দু অধিকারীকে তাঁর সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। তাঁর আগেই পূর্ব মেদিনীপুর নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর ডাকা এই ভার্চুয়াল বৈঠকে হাজির ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি শিশির অধিকারী। এছাড়াও ছিলেন জেলার বিধায়ক, সাংসদদের অনেকেই।

দল বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ মমতার
বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর নাম করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর বাবা পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শিশির অধিকারীকে তিনি নির্দেশ দেন, নন্দীগ্রাম, হলদিয়া, কাঁথি এইসব জায়গা যাঁরা দলবিরোধী কাজে যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নেতাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ মেঘনাদ পাল, আবু তাহের এবং সবং-এর অমূল্য মাইতির মতো নেতাদের নিরাপত্তরক্ষী প্রত্যাহার করে নিয়ে ইতিমধ্যেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। এবার সরাসরি ব্যবস্থা নিতে বলা হল। প্রসঙ্গ উল্লেখ্য এঁরা ছাড়াও জেলা একাধিক বিধায়ককেও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা গিয়েছে। ফলে কাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এখন সেটাই দেখার।

শুভেন্দু অধিকারী ও অনুগামীদের বার্তা
নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর অনুগামীদের বার্তা দিয়ে বলেছেন, বিজেপি এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। যাঁরা সাহস করে তাঁর (মমতা) সঙ্গে থাকতে চান, তাঁরা থাকুন। আর যাঁরা লুঠেরাদের ( বিজেপির নাম না করে) সঙ্গে যেতে চান, তাঁরা চলে যেতে পারেন।

শুভেন্দু অধিকারীকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে বসেছিলেন সৌগত রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। গত মঙ্গলবার শেষবারের মতো বৈঠক হয় উত্তর কলকাতার একটি চারতলা বাড়িতে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছে যাওয়ার আগেই হাজির ছিলেন প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৈঠকের পর সৌগত রায় জানিয়েছিলেন, তৃণমূলেই থাকছেন শুভেন্দু অধিকারী। সংকট কেটে গিয়েছে, আস্তে আস্তে সমস্যার সমাধান হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও বিরোধ নেই। যদিও রাত কাটতে না কাটতেই শুভেন্দু অধিকারী জানান, ক্ষমা করবেন, একসঙ্গে চলা সম্ভব নয়। কেন সব কথা আগেই প্রেসকে জানানো হল সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন শুভেন্দু। পরে সৌগত রায় বলেন, মত বদলালে আর কিছু করার নেই। এরপর যা বলার শুভেন্দুই জানাবেন।

স্তব্ধ হবে দেশ, আরও জোরদার আন্দোলন! ভারত বনধের ডাক প্রতিবাদী কৃষকদের