বিজেপি জিতলে ‘ভূমিপুত্র’ই হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, ভোট চলাকালীন জল্পনায় যেসব নাম
বিজেপি জিতলে ‘ভূমিপুত্র’ই হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তৃতীয় দফার আগে জল্পনায় যে নাম
মোদী-শাহরা বাংলায় এসে বারবার একই কথাই বলছেন যে, বিজেপি জিতলে ভূমিপুত্রই হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই ভূমিপুত্র কে, তা নিয়ে কোনও ইঙ্গিত সে অর্থে মেলেনি। এই লড়াইয়ে যেমন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ রয়েছেন, রয়েছেন তৃণমূল থেকে আসা শুভেন্দু অধিকারীও। আছেন মিঠুন চক্রবর্তী। আরও একজন আছেন, যিনি মোদী-শাহের খুবই কাছের লোক।
মমতার তৃণমূলকে কি সমর্থন করবেন অধীর! ভোট ফুরোতে না ফুরোতেই জল্পনার জবাব
রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করিয়ে বাংলায় প্রার্থী তিনি
রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ তিনি। রাষ্ট্রপতি তাঁকো মনোনয়ন দিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহেরও খুব কাছের লোক। এহেন স্বপন দাশগুপ্তকে এবার রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করিয়ে বাংলায় প্রার্থী করেছেন মোদী-শাহরা। ফলে তিনিও যে বাংলার ভূমিপুত্র হিসেবে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিদার হতে পারেন, তা মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
স্বপনবাবুকে নিয়ে মোদী-শাহদের একটা পরিকল্পনা রয়েছে
স্বপন দাশগুপ্তকে ভোটের অনেক আগে থেকেই বাংলায় পাঠিয়ে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা। তারপর তিনি একুশের নির্বাচনে তারকেশ্বর থেকে বিজেপির প্রার্থী। তাঁর হয়ে প্রচারে আসছেন খোদ মোদী। ফলে স্বপনবাবুকে নিয়ে যে মোদী-শাহদের একটা পরিকল্পনা রয়েছে, তা বলাই যায়। তা নিয়ে চর্চাও চলছে বিস্তর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'ধৃতরাষ্ট্র' বলছেন তাঁর প্রাক্তন সৈনিকরাই! প্রশ্নে অভিষেক-প্রীতি
যোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই, জল্পনায় মোদী-ঘনিষ্ঠ
স্বপন দাশগুপ্তর যোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। তাঁর মতো যোগ্য রাজনীতিক কমই রয়েছেন। তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন নামী প্রতিষ্ঠানে তাঁর শিক্ষাজীবন কাটিয়েছেন। ইংরেজি ভাষায় তাঁর দক্ষতা প্রশ্নাতীত। ডিগ্রির ভাঁড়ার যেমন তাঁর ভরা, তেমনই সংবাদপত্রে কলামিস্ট থেকে বই লেখায় তাঁর পারদর্শিতা, তাঁকে যোগ্যতার শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।
লড়াইয়ের ময়দানে কম যান না, বুঝিয়ে দিচ্ছেন স্বপন
ইতিমধ্যেই পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত এই রাজনীতিক বাংলার ভোট ময়দানে পাঞ্জা কষছেন তৃণমূলের রামেন্দু সিংহ এবং সিপিএমের সুরজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁরা দুজনেই ভূমিপুত্র। সেদিক দিয়ে স্বপন দাশগুপ্ত বহিরাগত হলেও, তিনি যে লড়াইয়ের ময়দানে কম যান না, তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন পরতে পরতে।
তারকেশ্বরের ভোট লড়াইয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ বিজেপি প্রার্থীর
তারকেশ্বরে স্বপনবাবু কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়েছেন। কেননা আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তারকেশ্বর বিধানসভা আসনে ৪ হাজারের সামান্য বেশি ভোট তৃণমূলের থেকে পিছিয়ে ছিলেন বিজেপির প্রার্থী। স্বপনবাবুর কাছে সেটা কোনও ফ্যাক্টর নয়। কারণ ২০১৬-র থেকে ২০১৯-এর নির্বাচনে যে উত্তরণ হয়েছে বিজেপির, একুশের নির্বাচনে তা পূর্বাভাস দিয়ে দিয়েছে।
বিজেপি লড়ছে পরিবর্তনের জন্য, ভূমিপুত্র মুখ্যমন্ত্রী
বিজেপি লড়ছে এবার রাজ্যে পরিবর্তনের জন্য। সেই গুরুত্বের জায়গা থেকে যখন ভূমিপুত্র মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্ব সামনে এনেছেন মোদী-শাহরা, তখন দিলীপ ঘোষ-শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে স্বপন দাশগুপ্তর নামটাও ভাসছে। স্বপনবাবু অবশ্য সেসব বেশি গুরুত্ব দিতে রাজি নন। কেননা তিনি জানেন, তারকেশ্বরের লড়াইটাই তাঁর প্রথম কাজ। তারপর অন্য কথা।
ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি
বিজেপি এবার বাংলা দখলে ঝাঁপিয়েছে। গোটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরাতে কোমর বেঁধেছে ভোট প্রচারে। কিন্তু মমতা যদি হারেন আর বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, তবে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? তা নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
বিধায়কের পরিবর্তে অন্যজনও হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী
বিজেপির রাজ্য সভপাতি দিলীপ ঘোষ একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বিধায়কই যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তার কোনও মানে নেই। অর্থাৎ জয়ী বিধায়কের পরিবর্তে অন্য কোনও নেতাকেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করতে পারে বিজেপি, এমন আভাস দিয়ে রাখলেন দিলীপ ঘোষ। আর এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে তাঁর নামের পাশাপাশি অন্য নামও জড়িয়ে গেল।
মুকুল রায় প্রার্থী, দিলীপ ঘোষ রয়ে গিয়েছেন ব্রাত্য
প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি দিলীপ ঘোষই এই পদের দাবিদার। তা নিয়ে স্পিকটি নট বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ এবার প্রার্থী হননি বিধানসভায়। তাঁকে ভোট প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে। যেখানে মুকুল রায়কে প্রার্থী করা হয়েছে, বহু সাংসদ প্রার্থী হয়েছেন, সেখানে দিলীপ ঘোষ রয়ে গিয়েছেন ব্রাত্য।
ভূমিপুত্রের সংখ্যাটা নেহাত কম নয় বিজেপিতে
বাংলায় এসে অমিত শাহ একাধিকবার বলেছেন কোনও ভূমিপূত্রই হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখেও সেই কথার প্রতিধ্বনি হয়েছে বাংলার ভোট মরশুমে। সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপি শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। মুকুল রায় তো আগে থেকেই বিজেপিতে আছে, আছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাই ভূমিপুত্রের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়।
নাম উঠেছিল বিজেপি নেতা নন এমন অনেকেরই
বাংলায় ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কাকে মুখ করে নির্বাচনে নামবে তৃণমূল তা ঠিক করে উঠতে পারেনি বিজেপি। উঠে এসেছে বহু নাম। বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তীর নামও ভাসছিল। মিঠুন ইতিমধ্যে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রাজ্যপাল থাকাকালীন তথাগত রায়ের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আর সর্বোপরি আলোচনায় এসেছিলেন বেলুড় মঠের এক স্বামীজির নাম। এই অবস্থায় নজর কাড়ল দিলীপের ঘোষের একটি পোস্টার।
দিলীপ ঘোষই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ! সমালোচনার ঝড়
সামনেই বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশ। মোদীর নেতৃত্বে ব্রিগেড সমাবেশের আগে দিলীপ ঘোষের একটি পোস্টারেই জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে কি দিলীপ ঘোষই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ! সম্প্রতি দিলীপ ঘোষকে বাংলার পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরে সমাোলেচিত হন সৌমিত্র খান। তারপর দিলীপ ঘোষের এই পোস্টার ঘিরে প্রবল জল্পনা।
ভোট যত এগোচ্ছে সামনে আসছে নতুন নতুন নাম
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সফরের জন্য তৈরি হয়েছে একটি পোস্টারে। সেই পোস্টারে দেখা যাচ্ছে মোদী ছাড়া একা দিলীপ ঘোষকে। ব্যাকগ্রাউন্ডে বাংলার মানচিত্র। তার সঙ্গে পদ্মফুলের ছবি। এই কোলাজেই লুকিয়ে জল্পনা। তবে কি বঙ্গ বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী সেই দিলীপ ঘোষই। তাঁকে সামনে রেখেই এবারের লড়াই, জল্পনা কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। ভোট যত এগোচ্ছে সামনে আসছে নতুন নতুন নাম।
প্রশান্ত কিশোর গাঁটছড়া ছিন্ন করছেন তৃণমূলের সঙ্গে! একুশের ভোটের মাঝেই চাপা গুঞ্জন