তৃণমূলের জয়ের একের পর এক 'কীর্তি' ফাঁস শুভেন্দুর! ২১-এর আগে 'নয়া পরিকল্পনার' পথে প্রশান্ত কিশোর
তৃণমূলের জয়ের একের পর এক 'কীর্তি' ফাঁস করছেন শুভেন্দু! ২১-এর আগে 'নয়া পরিকল্পনার' পথে প্রশান্ত কিশোর
কুড়ি বছরের বেশি সময় কাটিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। খারাপ থেকে ভাল, সব কিছুই দেখেছেন সামনে থেকে। এবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে পুরনো দলের খারাপ দিক নিয়েই একের পর আক্রমণ শানাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। তৃণমূল সোজাপথে ভোটের লড়াই করেনি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও এইসব অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল শিবির।
কেশপুরের সভা থেকে শুভেন্দুর আক্রমণ
এদিন কেশপুরে সভা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকেই শুভেন্দু অধিকারী ঘাটাল আসন থেকে কীভাবে বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষকে পরাজিত করা হয়েছে সেই তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কেশপুরে তৃণমূল জিতেছে একলক্ষ আট হাজার ভোটে। এই ভোট লুট না হলে ভারতী ঘোষ জিততেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পুলিশ যাদের সঙ্গে কেশপুর তাদের সঙ্গে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় বিডিও অফিস ঘেরাও করে রেখে কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
ডায়মন্ড হারবারে সাড়ে তিনশো বুথে সাড়ে তিনলক্ষ লিড
তৃণমূলে শুভেন্দু অধিকারীর প্রথম নিশানা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভা থেকেও কয়লা চোর, বালি চোর, গরু পাচারকারী বলে ভাইপোর নাম তিনি তোলেন। এর আগে ডায়মন্ড হারবারের ফলাফল নিয়ে তিনি বলেছিলেন , সাড়ে সতেরোশো বুথের মধ্যে ১৪০০ বুথে লিড নেই। কিন্তু সাড়ে তিনশো বুথেই সাড়ে তিনলক্ষ লিড। বামেদের তরফ থেকেও অবশ্য একই অভিযোগ আগেই তোলা হয়েছিল।
আরামবাগে গোনা হয়নি ১৬ টি ইভিএম
বুধবার হুগলির চন্দননগরে রোড শো করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে তিনি ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরামবাগে ভোট লুটের অভিযোগ করেছেন। প্রসঙ্গত আরামবাগে তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার মাত্র ১১ ৪২ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। শুভেদু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, সেখানে ১৬ টি ইভিএম-এর কোনও গণনাই করা হয়নি। ডিএম, এসপি, এসডিওদের কাজে লাগিয়ে তৃণমূল জোর করে এই কেন্দ্রে জিতেছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
ঝাড়্গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলা পরিষদের জিতেছিল বিজেপিই
ঝাড়গ্রামই হোক কিংবা পুরুলিয়া, যেখানেই শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছেন, সেখানেই তিনি দাবি করেছেন, ২০১৮-তে ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলা পরিষদে জয়ী হয়েছিল বিজেপিই। কিন্তু রাতের অন্ধকারে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে জোর করে জিতে যায় তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের পাল্টা প্রতিক্রিয়া
এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তারা বলছে, চিৎ হয়ে থুতু ফেলতে গেলে তা নিজের গায়েই পরে। কেননা পুরুলিয়া হোক কিংবা ঝাড়গ্রাম, দুই জেলারই দায়িত্ব সেই সময় ছিল শুভেন্দু অধিকারীর হাতে। এছাড়াও লোকসভা নির্বাচনের নিজের জেলার পাশাপাশি পাশের জেলাতেও প্রার্থীদের অনেক ক্ষেত্রেই তিনি জেতাতে সাহায্য করেছেন, প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে জায়গায় জায়গায় তৃণমূলের জয়ের কীর্তি ফাঁস হতে শুরু করায় অবশ্য নতুন পরিকল্পনা নিয়ে ফেলেছেন পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। যা আপাতত সবার অগোচরেই রাখা হয়েছে।
মমতার ডাকেও সারা দিলেন না 'শুভেন্দু অনুগামী' নেতা! ফের বিশাল ভাঙনের মুখে তৃণমূল