২০১১-তে মমতার আগে তৃণমূলে সাফল্য এনেছেন দুই নেতা! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর
দেড়জনে চালাচ্ছে দলটা। কোম্পানিটাও এই দেড়জনের। সেইকারণে তৃণমূল (trinamool congress) ছেড়েছেন তিনি। বারবার একই কথা তুলে ধরছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerje
দেড়জনে চালাচ্ছে দলটা। কোম্পানিটাও এই দেড়জনের। সেইকারণে তৃণমূল (trinamool congress) ছেড়েছেন তিনি। বারবার একই কথা তুলে ধরছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) নিশানা করে তিনি বললেন, ২০১১-তে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে তৃণমূলে সাফল্য পেয়েছেন দুই নেতা।
ধূপগুড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! ডাম্পারের তলায় একাধিক গাড়ি, মৃত্যু অন্তত ১৩ জনের
২০০৮ সালে পঞ্চায়ের ভোটে তৃণমূলের সাফল্য
১৯৯৮ সালে দল গঠনের পরে ২০০১-এর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসের স্লোগান ছিল এবার, নয়তো নেভার। যদিও সেই স্লোগান কাজ করেনি। এরপর ২০০৪-এর লোকসভা নির্বাচনে গিয়ে বড় ধাক্কা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধু নিজে জিততে পেরেছিলেন দক্ষিণ কলকাতা থেকে। ২০০৬-এও সুবিধা করতে পারেনি তৃণমূল। শিল্পায়নের স্লোগান দিয়ে দুশোর অনেক বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসে সিপিএম তথা বামেরা। কিন্তু তারপর থেকেই সেই শিল্পায়ন করতে গিয়েই ব্যাকগিয়ার। প্রথমে সিঙ্গুর, তারপর নন্দীগ্রাম। যার প্রভাব পড়ে ২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে। দুটি জেলা পরিষদ যায় তৃণমূলের দখলে। দুটিই কলকাতার খুব কাছের এবং গঙ্গার এপার আর ওপারের।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ দখল
২০০৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ওয়াশআউট হয়ে যায় তৃণমূল। একই পরিস্থিতি পূর্ব মেদিনীপুরেও। চারিদিকে শুরু লালে লাল। এরই মধ্যে ২০০৭-এর শুরু থেকেই শুরু হয়ে যায় নন্দীগ্রাম আন্দোলন। মূলত নয়াচরের জমিতে কেমিক্যাল হাব হওয়ার একটি বিতর্কিত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল ২০০৬-এর শেষের দিকে। পরে তা প্রত্যাহার করার পরেও বারবার সরকারের তরফ থেকে আশ্বস্ত করা হলেও, ততদিনে ব্যাটন চলে গিয়েছে তৃণমূল ও মাওবাদীদের হাতে। বলা ভাল শুভেন্দু অধিকারীর হাতে। ১৯৭৮ সাল থেকে হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথমবারের জন্য ২০০৮-এর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। কোনও এজেন্ট না দিতে পারলেও নন্দীগ্রামের ১৭ টি পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে যায়। জেলা পরিষদের ৫৩ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল দখল করেছিল ৩৬ টি। সমিতিতে ২৫ টির মধ্যে ২০ টি দখল করেছিল তৃণমূল। এই সাফল্যকে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সাফল্য বলেই দাবি করেছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ দখল
২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল অপর যে জেলা পরিষদ দখল করেছিল তা হল দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ৩১২ টি পঞ্চায়েতর মধ্যে সিপিএম-এর দখলে গিয়েছিল ৬৯ টি পঞ্চায়েত। সমিতিতে ২৯টির মধ্যে ৪ টি দখলে গিয়েছিল। সেই সময় কলকাতা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে হাতের তালুতে চেনেন সেই সময়কার মুখ্যমন্ত্রীর খুব কাছের বলে পরিচিত কানন। শুভেন্দু অধিকারী এক্ষেত্রে বলেছেন, জয় এনে দিয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পরিশ্রম। গঙ্গার পূর্ব দিকে সাফল্য শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আর পশ্চিমদিকে তাঁর নিজের।
২০১৪-তে অভিষেককে জিতিয়ে ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পরিশ্রম
১৮ জানুয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় বলে পরিচিত ডায়মন্ড হারবারে রোড শো করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আগেই শোভন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পরিশ্রমের জেরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদ হয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে ডায়মন্ড হারবার সমাজবিরোধীদের আস্তানা হয়ে হয়ে গিয়েছে। আর ২০১৯-এ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাড়ে তিনলক্ষ ভোটে জয় নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। শমীক লাহিড়ী থেকে শুভেন্দু অধিকারী, সবাই বলছেন প্রায় সাড়ে ষোলোশো বুথের মধ্যে ১৩ শো বুথে ব্যবধান নেই সেরকম কোনও। কিন্তু প্রায় সাড়ে তিনশো বুথেই সাড়ে তিনলক্ষ ভোটের ব্যবধান করে নিয়েছেন। তাঁরা ইঙ্গিত করেছেন ভোট লুটের দিকে।