বিজেপি নেতারাই 'কাফি'! ছত্রধরের ডেরায় গিয়ে জয়ের 'মার্জিন' জানালেন শুভেন্দু
৭ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) নন্দীগ্রামের সভায় যাচ্ছেন না। এদিনই তা জানান নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু সুফিয়ান। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) বলেন, কোম্পানির কর্মসূচ
৭ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) নন্দীগ্রামের সভায় যাচ্ছেন না। এদিনই তা জানান নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু সুফিয়ান। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) বলেন, কোম্পানির কর্মসূচি নিয়ে কোনও কিছুই বলবেন না। তিনি ঝাড়গ্রামে দলের মার্জিন বাড়াতে গিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন এই বিজেপি নেতা।
শুভেন্দু অধিকারীর ডাক এবার রাজ্যের দুইমন্ত্রীকে! তৃণমূলকে ভাঙতে কলকাতার সঙ্গে হাওড়াকেও নিশানা
কোম্পানির কর্মসূচি নিয়ে কোনও মন্তব্য নয়
শনিবার শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছিলেন হেস্টিংস-এ বিজেপির পার্টি অফিসে। সেখানে তিনি বলেন, ২১ বছর ধরে ওই দলটা করেছি, তা বলতে লজ্জা হচ্ছে। বিগত দিনে যে রাজনৈতিক দলটি তিনি করছেন, তা কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিনও ঝাড়গ্রামে তাঁর গলায় ছিল একই সুর। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ৭ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামের সভায় না যাওয়া নিয়ে। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কোম্পানির কর্মসূচি নিয়ে কিছুই বলবেন না।
নেতাই দিবসে কর্মসূচি
সাতই জানুয়ারি নেতাই দিবস। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাইয়ে সিপিএম-এর সশস্ত্র শিবির থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। সেই গুলি চালনায় চার মহিলা-সহ নয়জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন অন্তত ২৮ জন। সেইদিনের ঘটনার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, নেতাইয়ে গিয়ে তিনি একা লাশ কুড়িয়ে ছিলেন। সেখানকার শহিদ বেদীটাও তাঁরই তৈরি। সেখানকার মৃত ও আহতদের পরিবার সবাই জানে। তাই নেতাইয়ের ঘটনায় তাঁকে সার্টিফিকেট নিতে হবে না বলেও মন্তব্য করবেন শুভেন্দু অধিকারী।
ছত্রধর মাহাত নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী
ছত্রধর মাহাত নেতাই দিবসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেখানে যেতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিষয়টি অজানা নয় শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে জঙ্গলমহলে ফ্যাক্টর হতে পারেন এই ছত্রধর মাহাত। এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মাসাধিককাল অবরুদ্ধ করে রাখা, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কাউকে নিয়ে তিনি কোনও কথা বলবেন না।
গড়বেতায় সভা ৪ জানুয়ারি
শুভেন্দু অধিকারী এদিন জানিয়েছেন তিনি গড়বেতায় সভা করবেন ৪ জানুয়ারি। প্রসঙ্গত ২০০৪ সালের ৪ জানুয়ারি ছোট আঙাড়িয়ায় বড় হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এই মামলায় সিবিআই তদন্ত হলেও, প্রমাণের অভাবে অভিযুক্ত সিপিএম নেতারা মুক্তি পেয়ে যান। সেই সময় কেন্দ্রে ছিল তৃণমূলের সমর্থনে বাজপেয়ীর সরকার। এব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ছোট আঙাড়িয়ায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল গিয়েছিল। সাধারণ মানুষকে সেইসময় নিরাপত্তা দিয়েছিল বাজপেয়ী-আডবাণীর এনডিএ।
বিধানসভা ভোটে প্রতি আসনে ৫০ হাজার ভোটে জয়
শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ঝাড়গ্রাম আসনে জয় পেয়েছে। তাঁর অভিযোগ জেলা পরিষদে বিজেপিকে জোর করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। কীভাবে হারানো হয়েছে, সেই বিষয়টি তিনি জানেন বলেও মন্তব্য করেছেন। তবে বিধানসভা ভোটে এলাকার প্রতিটি আসনে বিজেপির ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবে বলেও মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরও বলেন, তিনি সেখানে গিয়েছেন মার্জিন বাড়াতে।
শুভেন্দুকে ঘিরে গোব্যাক স্লোগান
দলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে এদিন ঝাড়গ্রামে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু পথে তাঁকে উদ্দেশ্য করে গোব্যাক স্লোগান দেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, পাঁচজন স্লোগান দিচ্ছিল। তাঁদের তিনি চেনেন। নমস্কার করতেই তিনজন তাঁকে দেখে মাথা নামিয়ে নেয় বলেও মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।