'এখানে চলে, ফর দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি’, সংবিধান দিবসে বিধানসভায় শাসক দলকে নিশানা শুভেন্দুর
'এখানে চলে, ফর দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি’, সংবিধান দিবসে বিধানসভায় শাসক দলকে নিশানা শুভেন্দুর
সংবিধান দিবসে রাজ্য বিধানসভায় মুখোমুখি দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই শাসক দলকে সংবিধান দিবসে তীব্র আক্রমণ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, 'সংবিধানে লেখা রয়েছে ফর দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল'। আমাদের এখানে চলে, ফর দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি'। সংবিধানের ব্যকরণ এখানে একেবারে উল্টে দেওয়া হয়েছে এখানে।
শাসক দলকে নিশানা শুভেন্দুর
আজ সংবিধান দিবসে বিধানসভায় যাকে বলে মুখোমুখি দেখা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসক দলের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে। মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই শাসক দলের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, 'রাজ্যে সংবিধানের অবমানা করা হচ্ছে। সংবিধানে লেখা রয়েছে ফর দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল'। আমাদের এখানে চলে, ফর দ্য পার্টি, অফ দ্য পার্টি, বাই দ্য পার্টি'। যদিও বিধানসভায় শাসক দলকে আক্রমণ নতুন কোনও ঘটনা নয়। এর আগে একাধিকবার আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।
বারোধীদের কথা না শোনার অভিযোগ
এদিন সংবিধান দিবসে বলতে গিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেছেন বিধানসভায় বিরোধীদের বলতে দেওয়া হয় না। তিনি অভিযোগ করেছেন প্রশাসনিক সভায় বিরোধীদের ডাকা হয় না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আমন্ত্রণ না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক।
বিধানসভায় মমতার কক্ষে শুভেন্দু
একদিকে যখন বিধানসভা অধিবেশনে শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক তার পরেই আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে সারা দিয়ে তাঁর কক্ষে দেখা করতে যান শুভেন্দু অধিকারী। একুশের ভোটের পর রাজ্য বিধানসভায় এই প্রথম শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পল এবং মনোজ টিগ্গা।
সৌজন্য সাক্ষাৎ দাবি শুভেন্দুর
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে শুভেন্দু অধিকারীর যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক পারদ চরমে উঠেছিল। তারপরেই সংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, এটার মধ্যে রাজনৈতিক কিছু নেই। পুরোটাই সৌজন্য মূলক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৌজন্য দেখিয়ে আমন্ত্রণ করেছিলেন। সেই সৌজন্য রক্ষা করতেই তিনি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কক্ষে। মানুষের স্বার্থে বা বিধানসভা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁদের কাছ থেকে কোনও সাহায্যে চাইলে বিজেপির প্রতিনিধিরা সেই সাহায্য রাজ্য সরকারকে করবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।