মুকুলের দোসর হয়ে উঠতে চাইছেন শুভেন্দু, তৃণমূল ভাঙতে নয়া ‘রুটম্যাপ’-এ বিজেপি
২০২১-এর ভোটে জিততে বিজেপির কাছে যে একমাত্র পথ তৃণমূলে ভাঙন ধরানো, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া দলের নব্য নেতারাই।
২০২১-এর ভোটে জিততে বিজেপির কাছে যে একমাত্র পথ তৃণমূলে ভাঙন ধরানো, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া দলের নব্য নেতারাই। মুকুল তিন বছর ধরে তৃণমূল ভেঙে বিজেপিকে বাড়িয়ে তুলছেন, এবার এই কাজে মুকুলের দোসর হয়েছেন মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের আর এক কাণ্ডারী শুভেন্দু অধিকারী।
তৃণমূল ভাঙার খেলা শুরু করতে চাইছেন শুভেন্দুও
মুকুল রায় তৃণমূলকে ভেঙেছেন ইচ্ছামতো। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম দিন থেকে চেষ্টা করে গিয়েছেন শুভেন্দুকে দলে আনার। সেই চেষ্টাও তাঁর অবশেষে সফল হয়েছে। এবার মুকুলের দোসর হয়ে তৃণমূল ভাঙার খেলা শুরু করতে চাইছেন শুভেন্দুও। কারণ তাঁদের উভয়েরই কাছে চ্যালেঞ্জারের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা-অভিষেকের গড়ে ভাঙন ধরাতে চান
মুকুল রায়-শুভেন্দু অধিকারীদের দলে আবার ভিড় বাড়িয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে আরও আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু অধিকারী এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড়ে ভাঙন ধরাতে চান। দল ভারী করে শুভেন্দু বলেন, কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলকে না ভাঙলে জয় নিশ্চিত করা যাবে না।
শুভেন্দু স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন নয়া রুটম্যাপের
কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া জেলাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোমর ভেঙে দিয়েছে বিজেপি। এবার কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিজেপির নেক্সট টার্গেট। সেই লক্ষ্যেই ঘূঁটি সাজাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরামর্শ করেই তিনি তৃণমূল ভাঙার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হাওড়া ভাঙার পর শুভেন্দু স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন তাঁদের নয়া রুটম্যাপের।
শুভেন্দুর তৃণমূল ছাড়ার পিছনে যে অভিযেক!
লোকসভা ভোটে বিজেপি হাওড়ার পাশাপাশি কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জবরদস্ত ধাক্কা খেয়েছিল। কোনও আসন এই জেলা থেকে লাভ করতে পারেনি। এবার সেই ধারা পরিবর্তন করতে চায় তারা। শুভেন্দু অধিকারী এ ব্যাপারে বিশেষ অগ্রণী। যেহেতু তাঁর তৃণমূল ছাড়ার পিছনে অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান কারণ, তাই তাঁর জেলায় আঘাত হানতে চান শুভেন্দু।
মুকুলের দোসর হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা শুভেন্দুর
কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভাঙন ধরাতে শুভেন্দু কাজ শুরু করবেন রাজীবকে নিয়ে। শোভন ক্ষেত্র তৈরি করছেন। সেই ক্ষেত্রে এবার পদ্মফুল ফোটাতে চান শুভেন্দু-রাজীবরা। কালবিলম্ব না করে ফেব্রুয়ারিতেই ভাঙন ধরিয়ে একুশের যুদ্ধে স্বয়ং-সম্পূর্ণ হতে চান নব্য বিজেপি নেতারা। এবার এখানে মুকুলের পাশাপাশি ভাঙন-কর্তা হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা শুভেন্দুর।