দিল্লি যাচ্ছেন না শুভেন্দু! ভুয়ো খবর নিয়ে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা
শুভেন্দু অধিকারীকে ফের দিল্লিতে জরুরি তলব। আজ সোমবার রাতের মধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা খোদ নিজে শুভেন্দু অধিকারীকে দিল্লিতে জরুরি তলব করেছেন। তাঁর সঙ্
শুভেন্দু অধিকারীকে ফের দিল্লিতে জরুরি তলব। আজ সোমবার রাতের মধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা খোদ নিজে শুভেন্দু অধিকারীকে দিল্লিতে জরুরি তলব করেছেন। এমনই খবর ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ বিরোধী দলনেতা। তিনি জানিয়েছেন, এই খবর সম্পূর্ণ ভাবে অসত্য। দিল্লি যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই তাঁর ।
গত কয়েকদিন দিল্লিতে কাটিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে খোদ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল। তাঁর হাতে কার্যত সন্ত্রাস নিয়ে প্রমান্য নথি তুলে দিয়েছেন।
এখানেই শেষ নয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অরুণ মিশ্রের সঙ্গেও দেখা করেছেন তিনি। তাঁর হাতেও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে নথি তুলে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যপালের এভাবে মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূলের দাবি, এক্তিয়ার বহিভুত কাজ। তবে রাজ্যপালের এই দিল্লি সফরে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক। একবার নয়, দুবার শাহের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন রাজ্যপাল ধনখড়। মূলত ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়েই হয়তো আলোচনা হয়েছে বলে দাবি।
এরপর কলকাতা ফিরে ফের একবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যপাল ধনখড়। রবিবার এই বৈঠক হয়। আর এই বৈঠকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে শুভেন্দুকে দিল্লিতে জরুরি তলব। ফলে এই সফর ঘিরে আরও জল্পনা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে ভোটের পর থেকে বিজেপিতে বিদ্রোহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একের পর এক নেতা সুর চড়াতে শুরু করেছেন। এই অবস্থায় দল ছেড়েছেন মুকুল রায়। আর এরপরে আরও বেসুরো নেতারা। শুধু তাই নয়। দল ছেড়েই দিলীপ শুভেন্দুদের ঘর ভাঙানোর তোরজোড় শুরু করেছে মুকুল। আর সোমবার আলিপুরদুয়ারে ভাঙন ধরিয়েছে। আর তা ধরিয়ে কার্যত তাঁর হুঁশিয়ারি, শেষের শুরু।
মনে করা হচ্ছে এই বিষয়টি ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতারাও খেয়াল করেছেন। আর এরপরেই সম্ভবত বিরোধী দলনেতাকে দিল্লিতে তলব করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কীভাবে বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহ থামানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হতেব পারে বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে দিল্লি গিয়েছিলেন শুভেন্দু। যা নিয়ে আবার দিলীপ-শুভেন্দু বিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে। শুভেন্দুর পাশাপাশি তিন সাংসদকেও তলব করা হয়। একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়।