
'বহিরাগত'দের দিয়ে আসন নষ্ট করছেন 'বাংলার মেয়ে'! রাজ্যসভার আসনে বঞ্চনায় রুখে দাঁড়ানোর ডাক শুভেন্দু অধিকারীর
পূর্ণ শক্তিতে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। ভিন রাজ্যে ক্ষমতা ছড়ানোর আশায় দলের সেখানকার নেতানেত্রীদের রাজ্যসভায় জিতিয়ে আনছে তৃণমূল। অসমের (Assam) সুম্মিতা দেবের (Sushmita Deb) পরে এবার গোয়ার (Goa) লুইজিনা ফেলেইরো (Luizinho Faleiro)। যা নিয়ে বাংলাকে বঞ্চনা করার অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

রাজ্যসভায় রাজ্য থেকে তৃণমূল প্রার্থী লুইজিনো ফেলেইরো
পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হল লুইজিনো ফেলেইরোকে। গোয়ার প্রাক্তন কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী এবার সেখানে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে তার আগে তাঁকে অর্পিতা ঘোষের আসনে প্রার্থী করার কথা জানালো তৃণমূল। ১৬ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলে নির্বাচন হবে ২৯ নভেম্বর। বিধানসভা নির্বাচনের কিছু পরেই রাজ্যসভার তৃণমূল সদস্য অর্পিতা ঘোষ হঠাৎই পদত্যাগ করেন। সেই সময় জানা গিয়েছিল দলের নির্দেশেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। পরবর্তী সময়ে লুইজিনো ফেলেইরো কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগ দেন।

সেপ্টেম্বরেই অসমের সুম্মিতা দেবকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে তৃণমূল
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার পরে অসমের কংগ্রেস নেত্রী যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। সেই সময় মানস ভুঁইয়া বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ায় তিনি রাজ্যসভার সদস্যপদে ইস্তফা দেন। এরপর সেপ্টেম্বরে সেই আসনের নির্বাচনে সুস্মিতা দেবকে প্রার্থী করে তৃণমূল। তিনি জয়লাভ করার পরে তাঁকে মূলত ত্রিপুরার দায়িত্বে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের 'বহিরাগত' প্রচার
গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের সংগঠনের নেতারা। সেই সময় তৃণমূলের তরফে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত তকমা দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। পাশাপাশি বিজেপির মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'বাংলার মেয়ে' হিসেবেও প্রচার করে ঘাসফুল শিবির।

এবার শুভেন্দু নিশানায় বাংলার মেয়ে ও বহিরাগত
সুম্মিতা দেবকে তৃণমূল রাজ্যসভায় প্রার্থী করার পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ফলাফল পূর্বনির্ধারিত। তাই বিজেপি ওই আসনে প্রার্থী দেবে না। লুইজিনো ফেলেইরোর ক্ষেত্রেও কার্যত তেমনটাই হতে যাচ্ছে। কিন্তু যে তৃণমূল একটা সময়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত করে নিশানা করেছিল, সেই তৃণমূলকেই এবং তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যসভার প্রার্থী নিয়ে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইটে বলেছেন, বহিরাগতদের দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার আসন নষ্ট করছেন বাংলার মেয়ে। এনিয়ে তিনি ট্যাগ করেছেন সুস্মিতা দেব এবং লুইজিনো ফেলেইরোকে। সঙ্গে বলেছেন, বাঙালির কি এই বঞ্চনায় প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয়? অসম ও গোয়ায় তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ না থাকলে, বাংলাকে কেন তার মূল্য দিতে হবে, প্রশ্ন করেছেন বিজেপি নেতা।
মনিপুরে সেনার কনভয়ে জঙ্গি হামলা, কমান্ডিং অফিসার-সহ সাতজনের মৃত্যুর আশঙ্কা