লকডাউনে পাশে নেই তৃণমূল, আলাপন শাসকদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে বিস্ফোরক শুভেন্দু
লকডাউনে পাশে নেই তৃণমূল, আলাপন শাসকদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে বিস্ফোরক শুভেন্দু
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)নিজেই টুইট করে জানিয়েছিলেন তিনি দুপুরে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলবেন। এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়েই তিনি তোপ দাগেন তৃণমূল (trinamool congress) সরকার এবং প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (alapan banerjee) বিরুদ্ধে।
বাংলায় ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রস্তুতি, জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল
সিকিউরিটি কমিশন চালু করেনি সরকার
এদিন শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যে সিকিউরিটি কমিশন চালু না করা নিয়ে চিঠি দেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও সিকিউরিটি কমিশন চালু করেনি এই সরকার। যার জেরে পুলিশ ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এইমধ্যেই অনেকগুলি রাজ্য এই সিকিউরিটি কমিশন চালু করে দিয়েছে। এই কমিশন চালু হলে রাজ্যে পুলিশ কর্মীদের পোস্টিং-এর ক্ষেত্রে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠবে না বলেই মনে করছেন অনেকে।
শাসকদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত আলাপন
শুভেন্দু অধিকারী এদিন অভিযোগ করেন শাসকদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলেও, শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলায় সরঞ্জাম কেনা নিয়ে অভিযোগ আসার পরে পার্চেজ কমিটি গঠন করে। কিন্তু সেই কমিটির প্রধান ছিলেন তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়নি। সেই কমিটিতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা ছাড়াও পিএম কেয়ার্সের টাকা এসেছিল বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
অন্ডাল বিমানবন্দরেও দুর্নীতি
এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অন্ডাল এয়ারপোর্ট নিয়েও বড় দুর্নীতিতে জড়িয়েছে রাজ্য সরকার। প্রথমে এই এয়ারপোর্টে রাজ্য সরকারের শেয়ার ছিল ১১ শতাংশ। তা বাড়িয়ে ২৬ শতাংশ করা হয়। এরপর তা আরও বাড়িয়ে ৪৭ শতাংশ করা হয়। কীভাবে সরকার করেছে তার সবটাই জানেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রেও সরকার দুর্নীতিতে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
লকডাউনে পাশে নেই তৃণমূল
শুভেন্দু
অধিকারী
এদিন
বলেন,
লকডাউনে
পাশে
নেই
তৃণমূল
সরকার।
তিনি
আরও
বলেন,
করোনায়
মৃত
বিশিষ্ট
সাংবাদিক
অঞ্জন
বন্দ্যোপাধ্যায়
তাঁরও
খুব
প্রিয়
ছিলেন।
তাঁর
মৃত্যুর
পরে
তাঁর
স্ত্রীকে
২৪
মে
মাসে
১.১০
লক্ষ
টাকায়
সরকারি
চাকরিতে
নিয়োগ
করা
হয়েছে।
ওয়েস্টবেঙ্গল
টুরিজম
ডেভেলপমেন্ট
কর্পোরেশনে
পরামর্শদাতার
চাকরি
দেওয়া
হয়েছে
তাঁকে।
মেয়াদ
তিন
বছরের।
যে
কমিটিতে
সিদ্ধান্ত
নেওয়া
হয়েছে,
সেই
কমিটির
প্রধান
ছিলেন
তৎকালীন
মুখ্যসচিব
তথা
অঞ্জন
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দাদা
আলাপন
বন্দ্যোপাধ্যায়,
এমনটাই
দাবি
করেছেন
শুভেন্দু
অধিকারী।
শুভেন্দু
অধিকারী
বলেন,
যেখানে
ত্রিপুরা
সরকার
হকারদেরও
লকডাউনে
এক
হাজার
টাকা
করে
সাহায্য
করেছে,
উত্তর
প্রদেশে
যোগী
সরকার
সাহায্য
করেছে,
সেখানে
পশ্চিমবঙ্গ
সরকার
সাধারণ
মানুষের
পাশে
দাঁড়ায়নি।