শোভনদেবের মন্তব্য স্লিপ অফ টাং! বেড়েছে পরিযায়ী ও বেকার, মমতার আমলে শিল্প তাড়ানো নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু
শোভনদেবের মন্তব্য স্লিপ অফ টাং! বেড়েছে পরিযায়ী ও বেকার, মমতার আমলে শিল্প তাড়ানো নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু
মিথ্যা লগ্নে জন্ম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee)। এদিন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে নন্দীগ্রামে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পরে এমনটাই কটাক্ষ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের শিক্ষিত বেকার মন্তব্যকে স্লিপ অফ টাং বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, গত ১১ বছরে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে ৯ গুণ।
স্লিপ অফ টাং
তৃণমূল
বিধায়ক
শোভনদেব
চট্টোপাধ্যায়
বিতর্কিত
শিক্ষিত
বেকার
মন্তব্য
সম্পর্কে
বিরোধী
দলনেতা
বলেন,
স্লিপ
অফ
টাং
হয়ে
গিয়েছে।
তৃণমূল
বিধায়ক
সত্য
করা
বলে
ফেলেছেন।
তিনি
বলেন,
পশ্চিমবঙ্গ
থেকে
চাকরির
খোঁজে
৪৫
লক্ষ
লোক
চলে
গিয়েছেন।
তিনি
বলেন,
রাজ্যে
একটা
শিল্প
নেই।
নেই
ল্যান্ড
পলিসি।
এই
৪৫
লক্ষের
মধ্যে
নন্দীগ্রামের
৩০
হাজার
মানুষ
বাইরের
রাজ্যে
রয়েছেন
বলেও
দাবি
করেন
তিনি।
আগে
রাজ্যে
এমপ্লয়মেন্ট
এক্সচেঞ্জ
থাকলেও
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
তা
তুলে
দেন।
বদলে
এমপ্লয়মেন্ট
ব্যাঙ্ক
চালু
হয়েছিল
এবং
১
লক্ষ
নাম
নথিভুক্ত
হয়েছিস।
১৫০০
টাকা
বেকার
ভাতা
দেওয়ার
কথাও
বলা
হয়েছিল।
কিন্তু
তার
কিছুই
হয়নি।
প্রসঙ্গত
শনিবার
মাধ্যমিকের
ফল
প্রকাশের
পরে
এক
অনুষ্ঠানে
শোভনদেব
চট্টোপাধ্যায়
বলেন,
১২
লক্ষ
মাধ্যমিক
পরীক্ষা
দিয়েছিল।
পাশ
করেছে
৮৬
শতাংশ।
সব
শিক্ষিত
বেকার
তৈরি
হয়ে
গেল
বলে
মন্তব্য
করেন
তিনি।
এরপর
উচ্চমাধ্যমিক,
স্নাতক,
স্নাতকোত্তর,
পলিটেকনিক,
এত
ছেলে
তৈরি
হচ্ছে
প্রতিদিন,
তাঁরা
ঘুরে
বেরাচ্ছেন।
গ্র্যাজুয়েট
হয়ে
বা
এমএ
পাশ
করেও
চাকরি
পাওয়া
যাচ্ছে
না।
মুখ্যমন্ত্রী শিল্প তাড়িয়েছেন
রাজ্যে শিল্প প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গত ১০ বছরের কথা বলতে গেলে অনেক সময় যাবে। তা গত ১ বছরে তিনি কী কী শিল্প তাড়িয়েছেন, একবার সবাই জেনে রাখুন। তিনি বলেন, নৈহাটির জুটমিল,চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল, ভদ্রেশ্বর জুটমিল, ডানকুনির বিস্কুট কারখানা, কেশরাম রেয়ন, ডাবরের কারখানা চলে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশে।
রাজ্যে বেড়েছে পরিযায়ী শ্রমিক
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন মুখ্যমন্ত্রী হন, সেই সময় রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক ছিল ৫ লক্ষ ২০ হাজার। তিনি বলেন, সিপিএম-এর বিরুদ্ধে চাকরি চাই, চাকরি দাও বলে মিছিল করেছিলেন তিনি। তখন বেকার ছিল ১ কোটি। গত ১১ বছরে বেকার বেড়ে হয়েছে ২ কোটি।
ক্ষমতায় আসার আগে থেকে প্রতিশ্রুতি
আসনসোল পুরসভা এলাকার মানুষ তীব্র জনকষ্টের মধ্যে রয়েছেন। এদিন এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০১০ অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার আগে থেকে আসানসোল ওকুলটির মানুষদের কাছে জল নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন। ভোটের বদলে খাওয়ার জলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। আসানসোলের মানুষ সেই থেকে সেখানকার অন্তত কুড়িটি নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরদলকে ভোট দিয়েছে। বিরোধী দলনেতা বলেন, আসানসোলের মানুষের প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছেন তিনি।
টাকা-চাকরি-মন্ত্রীপদ! সিপিএম ছাড়ার ভাবনার সময়েই এসেছিল বড় অফার, তৃণমূলকে নিশানা বিজেপি সাংসদের