'ব্যতিক্রমী ঘটনা' ঘটালেন মমতা, কেন তৃণমূলকে লিমিটেড কোম্পানি বলেছিলেন, শপথের দিনেই কটাক্ষ শুভেন্দুর
দুজনেই দুজনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে। একজন জিতলেন নন্দীগ্রামের নির্বাচনে আর অপরজন রাজ্যের নির্বাচনে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে হারের পরেও দলের পরিষদীয় নেতা নির্বাচনের পরে এদিন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন ম
দুজনেই দুজনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে। একজন জিতলেন নন্দীগ্রামের নির্বাচনে আর অপরজন রাজ্যের নির্বাচনে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে হারের পরেও দলের পরিষদীয় নেতা নির্বাচনের পরে এদিন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। যা নিয়েই কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী(suvendu adhikari) ।
মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের জন্য শপথ মমতার
এদিন রাজভবনে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১-তে শপথ নেওয়ার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপদে ইস্তফা দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে পরে ভবানীপুর থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। আর এবার সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর কাছে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। সামনের ছয় মাসের মধ্যে তাঁকে কোনও একটি আসন থেকে জয়ী হয়ে আসতে হবে।
শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ
এদিন
মুখ্যমন্ত্রী
পদে
শপথ
নেওয়ার
পরে
শুভেন্দু
অধিকারী
বলেন,
ভোটে
হেরে
মুখ্যমন্ত্রী
হলেন
মাননীয়া।
এর
আগে
রাজ্যে
এরকম
ঘটনা
ঘটেনি।
তাঁর
প্রশ্ন
নির্বাচিত
২১৩
জনের
মধ্যে
কাউকে
মুখ্যমন্ত্রী
হিসেবে
খুঁজে
পাওয়া
গেল
না?
এজন্যই
তিনি
তৃণমূলকে
লিমিটেড
কোম্পানি
বলেছিলেন
বলেও
মন্তব্য
করেছেন।
প্রসঙ্গত
দল
ছাড়ার
পর
থেকে
বিভিন্ন
প্রচার
সভায়
তৃণমূলকে
লিমিটেড
কোম্পানি
বলে
কটাক্ষ
করেছিলেন
শুভেন্দু
অধিকারী।
বলেছিলেন,
সেখানে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
আর
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়
ছাড়া
আর
কারও
স্থান
নেই।
প্রসঙ্গত
এদিন
সারা
রাজ্যে
দলের
কর্মীদের
ওপরে
হামলার
অভিযোগ
করে
শপথগ্রহণ
অনুষ্ঠান
বয়কট
করে
বিজেপি।
শুভেন্দু
অধিকারী
বলেন,
তাদের
লড়াই
চলবে।
যেভাবে
ধর্ষণ
করা
হচ্ছে,
মারা
হচ্ছে
,
তা
অভাবনীয়।
সব
বিরোধীরা
অনুষ্ঠান
বয়কট
করায়
তিনি
সবাইকেই
ধন্যবাদ
জানিয়েছেন।
নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে হার
এবারের নির্বাচনে সারা দেশের নজর ছিল নন্দীগ্রামের দিকে। গণনার দিন শেষ পর্যন্ত ছিল টানটান উত্তেজনা। সেই উত্তেজনায় শেষপর্যন্ত বাজিমাত করেন শুভেন্দু অধিকারী। শেষ পর্যন্ত তিনি ১৯৫৬ ভোটে জয়ী হন। যদিও গণনার দিন সন্ধের কিছু আগে সর্বভারতীয় পর্যায়ে খবর হয়ে গিয়েছিল নন্দীগ্রাম থেকে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই সময়ে একাধিক ইভিএমের গণনা বাকি ছিল। ফলে ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে পরিস্থিতি নাটকীয় ভাবে বদলে যায়। শেষ হাসি হাসেন শুভেন্দু অধিকারীই।
পুনর্গণনার দাবি নাকচ
সেই দিনই নির্বাচন কমিশনের কাছে নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবি করে তৃণমূল। সেই দাবি নাকচ করে দেয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানায় রিটার্নিং অফিসার যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তাই চূড়ান্ত। যদিও পরবর্তী সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোনে আসা এতটি হোয়াটসঅ্যাপ দেখিয়ে দাবি করে, রিটার্নিং অফিসারকে হুমকির মুখে কাজ করতে হয়েছে। তিনি নন্দীগ্রামের ফল নিয়ে হাইকোর্টে যাবেন বলেও জানান।