ভোট লুটে বাধা পেয়ে উল্টোপাল্টা কথা, 'গোলকিপার' মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর
ভোট লুট ঠেকাতে বিজেপির (bjp) ভরসা কেন্দ্রীয় বাহিনী (central force) । পূর্ব বর্ধমানের একাধিক সভা থেকে তা স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) । পাশাপাশি তিনি ভোট লুট ঠেকাতে দলের কর্মী সমর্থ
ভোট লুট ঠেকাতে বিজেপির (bjp) ভরসা কেন্দ্রীয় বাহিনী (central force) । পূর্ব বর্ধমানের একাধিক সভা থেকে তা স্পষ্ট করে দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) । পাশাপাশি তিনি ভোট লুট ঠেকাতে দলের কর্মী সমর্থকদের নির্বাচন কমিশনের অ্যাপ ব্যবহারেরও পরামর্শ দিয়েছেন।
তৃণমূলের ভোট লুটে বাধা কেন্দ্রীয় বাহিনী
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তৃণমূল যেভাবে ভোট লুট করে এসেছে এবার তা হচ্ছে না। হতাশ হয়ে মাননীয়া থেকে তৃণমূলের অন্য নেতারা উল্টোপাট্টা কথা বলছেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ভোটের আগের দিন কিংবা ভোটের দিন যেখানে, যেখানে গণ্ডগোল হবে, বুথের নম্বর দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ করতে দলের কর্মী সমর্থকদের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সেই কাজটি করলেন, ১৫ মিনিটের মধ্যে কিউআরটি আসবে। আর পিঠে ডান্ডা পরবে।
নন্দীগ্রাম নিয়ে মমতাকে নিশানা
পঞ্চম দফার প্রচারের শেষ লগ্নে শুভেন্দু অধিকারীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। নন্দীগ্রাম নিয়ে নিশানা করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, নন্দীগ্রামে তিনি (শুভেন্দু) হারিয়ে দিয়েছেন মাননীয়াকে। ভোট গোনাটাই বাকি আছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, তৃণমূল কোম্পানির মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন তিনি গোলকিপার, সব গোল আটকে দেবেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, নন্দীগ্রামে খেলা শুরু হয়েছে সকাল সাতটা থেকে। বিজেপি প্রার্থী ময়দানে নেমেছেন সকাল ৭.১৬ থেকে। আর গোলকিপার নেমেছেন দুপুর দুটো থেকে। সেই সময় পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। খেলাও শেষ।
বালি লুটের টাকা ভাইপোর কাছে
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, বর্ধমানের যেসব নদী আছে, সব নদী থেকেই বালি লুট করা হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশেরষ এইসব বালি লুটের সব টাকা যাচ্ছে তোলাবাজ ভাইপোর কাছে। বালির সব টেন্ডার পায় পবন অরোরা। যে ভাইপোর শ্যালিকাকে বিয়ে করেছেন। বালি ছাড়াও আসানসোলের কয়লা ও বীরভূমের পাথর খাদান থেকেও টাকা খাচ্ছে ভাইপো। তিনি বলেন, এদের হাত থেকে না বাঁচালে বাংলা আর বাঁচবে না।
শুভেন্দুর মুখে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা
ভোট প্রচারে শুভেন্দু অধিকারীর মুখে উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা। মুখ্যমন্ত্রীকে অহংকারী বলে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন রাজ্যের কৃষকদের কেন্দ্রের দেওয়ার ১৮০০০ টাকা করে পেতে দেননি। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে সবাই নলবাহিত পানীয় জল পাবেন। ৩০০০ টাকা করে বিধবা ভাতা দেওয়া হবে। বার্ধক্য ভাতাও দেওয়া হবে। তিনি বলেন, মোদীজি তিন তালাক খতম করে মুসলিম মহিলাদের চোখের জল মুছিয়েছেন।