মমতাকে যেমন কর্ম-তেমন ফলের সাবধানবাণী! তৃণমূলের সংস্কৃতির প্রশ্নে মানুষের বিবেকের আশ্রয়ে শুভেন্দু
রবিবার তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করার পরে এবার বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাড়িতে টিকতে না দেওয়ার অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল (Trinamool Congress) ত্যাগ এবং বিজেপিতে (BJP) যোগদানের একবছর পূর্তিতে তৃণমূলের তরফে মিষ্টি বিলির পাশাপাশি লাউডস্পিকারে গান বাজানো হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায়। তা হচ্ছে কাঁথিতে, বাড়ির একেবারে সামনেই। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সাবধানবাণী শুনিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।


তৃণমূলের সংস্কৃতি নিয়ে সরব শুভেন্দু অধিকারী
এদিন টুইট করে তৃণমূলের সংস্কৃতি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি পশ্চিমবঙ্গবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, দয়া করে তৃণমূলের নোংরা সংস্কৃতির দিকে তাকান। রবিবার হাজার হাজার পুলিশ কর্মী এবং সর্বশক্তি দিয়ে তাঁকে থামাতে পারেনি। এদিনের ঘটনার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তৃণমূল আরও নিচে নেমে গিয়েছে। কোনওরকম অনুমোদন এবং শালীনতা ছাড়াই তাঁর বাড়ির সামনে লাউডস্পিকারে গান বাজানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ত্যাগ এবং বিজেপিতে যোগদানে ১ বছর পূর্ণ হয়েছে। যা নিয়ে তৃণমূলের তরফে বিভিন্ন জায়গায় মিষ্টি বিলির পাশাপাশি দান বাজানো হচ্ছে।

মমতাকেও ফলাফল নিয়ে হুঁশিয়ারি
অপর একটি টুইটে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তাঁর ব্যস্ত সূচির কারণে তিনি কাঁথির বাড়িতে থাকতে পারেন না। কিন্তু বাড়িতে ৮৩ বছর বয়সী বাবা শিশির অধিকারী এবং ৭৪ বছরের অসুস্থ মা রয়েছেন। তাঁরাই তৃণমূলের লক্ষ্য হয়ে উঠেছেন বলে মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে তিনি বলেছেন যেমন কর্ম, তেমন ফল। পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি সচেতন মানুষ তাঁর (মমতা) বিবেকের বিচার করবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

রবিবার বাড়িতে 'আটক' শুভেন্দু
প্রসঙ্গত ররিবার শুভেন্দু অধিকারী দুপুরে যখন সল্টলেকের জিসি-৩৫-এ দলের বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে বৈঠক করছিলেন, সেই সময় সেই বাড়ি ঘিরে ফেলে বিধাননগর পুলিশ। এরপর বিকেল পাঁচটায় কলকাতার ভোট প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও শুভেন্দু অধিকারীকে ওই বাড়ি থেকে বেরোতে বাধা দেয় পুলিশ। রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার কথা থাকলেও সেখানেও পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। পরে শুভেন্দু অধিকারী জানান, তাঁকে আটকে রাখার কোনও নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশন কিংবা কলকাতা পুলিশের তরফে দেওয়া হয়নি। কলকাতা পুলিশের তরফে তাঁকে এবং সহযোগী বিধায়কদের এসকর্ট করে রাজভবনে পৌঁছে দেওয়া হয়।

মমতাকে বলেছিলেন কম্পার্টমেন্টার সিএম
রবিবার সন্ধেয় রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে শুভেন্দু অধিকারী বের হন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে। কিন্তু পুলিশ তাঁকে থামিয়ে দেয়। এক পুলিশ আধিকারিকা তাঁকে থামানোর নামে গায়ে হাত তোলেন বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সমগ্র ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জন উনের সঙ্গে তুলনা করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কম্পার্টমেন্টার সিম বলেও কটাক্ষ করেন। কেননা নন্দীগ্রামে হেরে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার সময় ছিলেন নন এমএলএ সিএম। আর ভবানীপুরে জেতার পরে তিনি হয়েছেন কম্পার্টমেন্টার সিএম। নন্দীগ্রামে ফের করে ভবানীপুরে পাশ করার জন্য।