‘চাণক্য’ শাহের ‘চন্দ্রগুপ্ত’ হতে চাইছেন শুভেন্দু! সতীশ সামন্তের ভাবশিষ্য অন্য পথে
শুভেন্দু অধিকারী গান্ধীবাদী সতীশ সামন্তর ভাবশিষ্য বলে নিজেকে দাবি করে এসেছেন। এখন তৃণমূল ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগ দিয়ে তিনি গুরু মেনেছেন অমিত শাহকে। যোগদানের আসরেই তাঁকে বড় দাদা মেনে বুকে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এবার তাঁর দেখানো পথই বেছে নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শাহের ঢঙেই কৃষক পরিবারে ভোজন সারলেন তিনি।


বিনাযুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনীও দেবেন না শুভেন্দু
অমিত শাহ আর জেপি নাড্ডা ছাড়া কোনও রাজ্য নেতাকে আগে কোনও বাড়িতে পাত পেড়ে খেতে দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবার নন্দীগ্রামে কৃষক পরিবারে পাত পেড়ে খেলেন শুভেন্দু অধিকারী। ভোটযুদ্ধে যে এবার বিনাযুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনীও দেবেন না শুভেন্দু, তা বুঝিয়ে দিলেন নন্দীগ্রামে পা দিয়ে।

অমিত শাহকে পথপ্রদর্শক মেনেছেন শুভেন্দু
আর ভোটযুদ্ধে জমি দখলে রাখতে শুভেন্দু অমিত শাহের স্মরণ নিলেন। অমিত শাহ সেই ২০১৯ -এর আগে থেকেই দলিত-কৃষক-আদিবাসী পরিবারে পাত পেড়ে খাওয়ার রেওয়াজ শুরু করছিলেন। তবে তাঁর পদাঙ্ক অনসরণ করে আগে কোনও রাজ্য নেতা এককভাবে এই পন্থা অবলম্বন করেনি। অমিত শাহকে পথপ্রদর্শক মেনে শুভেন্দুই রাজ্যে শুরু করলেন দরিদ্র পরিবারে পাত পেড়ে খাওয়াও রাজনীতি।

শাহ-নাড্ডার মতো একই স্টাইলে শুভেন্দু
মঙ্গলবার ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবসে দলীয় কর্মসূচি সেরে তিনি নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় কৃষক পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। চিত্তরঞ্জন দাসের বাড়িতে পাত পেড়ে ভাত খান স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। অমিত শাহ-জেপি নাড্ডার মতো একেবারে একই স্টাইলে তিনি মধ্যাহ্নভোজ সারেন। শুভেন্দু নন্দীগ্রামের মাটিতে নতুন দিশা দেখালেন প্রচারের।

নন্দীগ্রামে একগুচ্ছ কর্মসূচি, মমতাকে একহাত শুভেন্দুর
মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। কৃষি আইনের সমর্থনে মিছিল করার পর তিনি কৃষক পরিবারের অন্ন গ্রহণ করলেন। সেখানেই শেষ নয়, তার পর নাড্ডার স্টাইলে তিনি কৃষক পরিবারে চাল সংগ্রহও করেন। তারপর জনসভার মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল সুপ্রিমোকেও একহাত নেন।

শুধু নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ান, ভোকাট্টা করে দেব
এদিন মমতাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, আপনি শুধু নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ান। আপনাকে কেমন করে হারাতে হয় আমি জানি। ১৪টি এলাকা থেকে আপনাকে ভোকাট্টা করে দেব। ভোট এসেছে বলে নন্দীগ্রামে এসেছেন। ৫ বছর ছাড়া ছাড়া মনে পড়ে নন্দীগ্রামকে। তিনি এদিন কেন্দ্র ও রাজ্যে একই সরকার প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেন।

সতীশ সামন্তর ভাবশিষ্য এখন শাহ-পন্থী
শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর সৌগত রায় বলেন, কংগ্রেসি ঘরানার গান্ধীবাদী শুভেন্দু অধিকারী যিনি নিজেকে সতীশ সামন্তর ভাবশিষ্য বলে মনে করেন, তাঁর মুখে এক কথা আর মনে এক কথা। যিনি সতীশ সামন্তের মন্ত্রে দীক্ষিত হবেন তিনি কখনও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নাথুরাম গডসেদের দলে যোগ দিতে পারেন না।

অমিত শাহকে বড় দাদা মেনেছেন শুভেন্দু
তৃণমূল তাই এখন বলছে, শুভেন্দু অধিকারী বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বিজেপিতে যোগ দিয়ে। তিনি যখন অমিত শাহকে বড় দাদা মেনেছেন, তাঁর পদাঙ্ক তো অনুসরণ করবেনি। তিনি তাই অমিত শাহ-জেপি নাড্ডার ঢঙে চাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে কৃষক পরিবারে পাত পেড়ে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শুভেন্দুকে 'বার্তা' দিয়েও ফের বেসুরো জিতেন্দ্র! ধৈর্যের বাঁধ ভাঙার প্রতিক্রিয়ায় জল্পনা তুঙ্গে