শুভেন্দুকে সরানো হয়েছিল ভাইপোর জন্যই, তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কারণ প্রকাশ একুশের আগে
বিজেপিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী প্রতিদিনই স্পষ্ট করে দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসে তাঁর অস্বস্তি কোথায় ছিল। প্রতিদিনই তিনি টার্গেট করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তোলাবাজ ভাইপো থেকে শুরু করে ভাতিজা ভেটের কটাক্ষ তো ছিলই, এবার তিনি সরাসরিই জানালেন তাঁকে যুব সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছিল ভাইপোর জন্যই।

যুব সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছিল ভাইপোকে বসানোর জন্য
দাঁতনের সভা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল শুভেন্দু তৃণমূলে যুব সভাপতির পদ থেকে অপসারণ মানতে পারেননি। তিনি এদিন সাফ জানান, যুব সভাপতি পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়েছিল ভাইপোকে বসানোর জন্য। সৌমিত্র খাঁকে যুব সভাপতির পদে বসানো হয়েছিল নামকাওয়াস্তে। লোকচক্ষুতে যাতে না লাগে, তার জন্যই সৌমিত্রকে বসানো হয়েছিল ছ-মাসের জন্য।

সৌমিত্রকে সরিয়ে যুব আর যুবা সংগঠন মিলিয়ে দেওয়া হয়েছিল
শুভেন্দু অভিযোগ করেন, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূল যুবার সংগঠন শুরু করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনতে। ছ-মাসের মধ্যে সৌমিত্রকে সরিয়ে যুব সংগঠন আর যুবা সংগঠন মিলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যুব সংগঠনের মাথায় বসানো হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এটা ছিল অভিষেককে যুব সভাপতি করার পরিকল্পনা।

অভিষেক আর প্রশান্ত কিশোরের তৃণমূলে উপযোগী পরিবেশ নেই
শুভেন্দু তৃণমূলে বেঁকে বসার পর সৌগত রায় চেষ্টা করেছিলেন তাঁর মানভঞ্জনের। শুভেন্দু তখন সাফ জানিয়েছিলেন, যতদিন তৃণমূলের রাশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির হাতে ছিল, ততদিন কোনও সমস্যা ছিল না। অভিষেক আর প্রশান্ত কিশোরের হাতে আসতেই এই তৃণমূল থাকার উপযোগী পরিবেশ হারিয়েছিল।

বানের জলে ভেসে আসিনি, কড়া জবাব শুভেন্দু অধিকারীর
এদিন শুভেন্দুর কথায়, তৃণমূল মনে করেছিল আমরা বানের জলে ভেসে এসেছি, তাই না। এবার তার জবাব দেব। তৃণমূলে সব কিছু কলকাতার। ২২ জনের ১১ জন সাংসদ কলকাতা ও শহর এলাকার। কলকাতার ৩-৪টে লোকের হাতেই হাতে সব মন্ত্রিত্ব। তৃণমূলের যা কিছু অধিকাংশ কলকাতার। আমরা গ্রামের লোকেরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি। এবার এই লড়াই বুঝে নেওয়ার পালা।

তৃণমূলে এখনও আছে উপসর্গহীন বেইমান! পিকের রিপোর্টই ধ্বনিত অভিষেকের কণ্ঠে