বিদ্রোহ বাড়ছে বঙ্গ বিজেপিতে, কমছে ভোটও! হেস্টিংসে জরুরি বৈঠকে সুকান্ত-শুভেন্দুরা
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে লাগাতার বাংলায় ভোট কমেছে বিজেপি'র। আর তা কমতে কমতে একেবারে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়ছে। বাংলায় পর পর উপনির্বাচন, পুরসভা নির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে। সম্প্রতি উপনির্বাচনে হারাতে হয়েছে আসানসোলে
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে লাগাতার বাংলায় ভোট কমেছে বিজেপি'র। আর তা কমতে কমতে একেবারে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়ছে। বাংলায় পর পর উপনির্বাচন, পুরসভা নির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে। সম্প্রতি উপনির্বাচনে হারাতে হয়েছে আসানসোলের মতো শক্ত আসনটিও।
যে আসনটি গত দু-বার বিজেপির দখলে ছিল। বালিগঞ্জে আবার সিপিএমও বিজেপিকে পিছনে ফেলে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনে ভরাডুবির জন্য বঙ্গ বিজেপির কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
এই অবস্থায় বেলা ১২ টা থেকে আরও একটি জরুরি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এই বৈঠক হবে। এই বৈঠকে জেলা সভাপতি, পর্যবেক্ষক সহ একাধিক নেতা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে।
অমিতাভ চক্রবর্তীকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে
শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। কেন আসানসোলের মতো শক্তঘাঁটি হাতছাড়া হল? সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিতেই অমিতাভবাবুকে কার্যত জরুরি তলব করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে তাঁকে। আর এই অবস্থায় জরুরি বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বঙ্গ বিজেপির কাছে বিদ্রোহ থামানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ
বঙ্গ বিজেপিতে ক্রমেই বিদ্রোহের তালিকা লম্বা হচ্ছে। দুই কেন্দ্রে ভোটের ভরাডুবি হতেই নেতৃত্ব নিয়ে বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ। এমনকি মুখ খুলেছেন অনুপম হাজরাও। কেন দলের এই অবস্থা তা খতিয়ে দেখার কথা বলেছেন। গত ২৪ ঘন্টা আগে শঙ্কা বাড়িয়ে বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এমনকি সম্প্রতি জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে নয়া সংগঠন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের বিধায়ক। অন্তত বঙ্গ বিজেপির কাছে বিদ্রোহ থামানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
২৪ এর আগে নিষ্ক্রিয় একাধিক নেতৃত্ব
বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পরেই নিচু তলায় সংগঠনে বড় ধাক্কা লেগেছে। একদিকে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস এবং বিজেপি নেতাদের নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া যার বড় কারণ। গত কয়েকদিনে একাধিক বিজেপি সাংসদও মুখ ফিরিয়েছেন। লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতাদের কাজে লাগানো হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। এমনকি শান্তনু ঠাকুরের পিকনিট পলিটিক্স দেখেছে বাংলার মানুষ। রাজ্য নেতৃত্বকে এড়িয়েই পিকনিক করেছেন তিনি। ফলে দলের মধ্যেই ২৪-এ কি হবে তা নিয়ে একটা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ
নেতৃত্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আর তা সামাল দিতেই জরুরি বৈঠক বঙ্গ নেতারা। জানা যাচ্ছে, হেস্টিংসে জরুরি বৈঠকে বসেন নেতারা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতো শীর্ষ নেতারা। কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে খবর। বিদ্রোহ সামাল দেওয়া যাবে কীভাবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে খবর। অন্তুত নাড্ডার মুখোমুখি হওয়ার আগে এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।