শুভেন্দুর সঙ্গে একই 'বার্থডে পার্টিতে' রুদ্রনীল! খানিক বাদে প্রবেশ রাজীব-বৈশালীদের, জল্পনার পারদ তুঙ্গে
মানকুণ্ডর সভায় তিনি বলেছিলেন তৃণমূল খুব শিগগির বড় ২ টো ধাক্কা খাবে। আর কেশপুরের সভায় তিনি জানান তৃণমূল থেকে অনেকেই এবার বিজেপির ঝাণ্ডা ধরতে আসবেন। বক্তা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই শুভেন্দুর সঙ্গেই টলিউড অভিনেতা সোয়েলের জন্মদিনের পার্টিতে একসঙ্গে দেখা গেল শুভেন্দু , রুদ্রনীলকে। পার্টিতে এসেছিলেন হাওড়ার দুই বেসুরো তৃণমূল বিধায়ক ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বৈশালী ডালমিয়া।
রুদ্রনীল ও রাজনীতি
প্রসঙ্গত ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একাধিক ভোটে শাসকদলের তারকা ক্যাম্পোর ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ। আর সেই রুদ্রনীলের গত ২০১৯ সাল থেকে দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বলে খবর। সাম্প্রতিককালে তাঁর একাধিক বক্তব্যে স্পষ্ট যে ঘাসফুল শিবির নিয়ে তিনি খুব একটা সন্তুষ্ট নন। এদিকে শোনা যায়, রুদ্রনীলের বাড়িতে কিছুদিন আগে শঙ্কুদেব পণ্ডা গিয়েছিলেন। তারপর থেকে জল্পনার মাত্রা বাড়ে। এরপর সোয়েলের জন্মদিনে শুভেন্দু ও রুদ্রনীল একই ফ্রেমে আসতে জল্পনার মাত্রা দ্বিগুণ হয়।
'কর্মচারি না হয়ে সহকর্মী' হওয়ার ডাক এবং রাজীব
মানকুণ্ডর সভায় শুভেন্দু দাবি করেছিলেন যে তৃণমূল কংগ্রেসে কর্মচারি হিসাবে নেতাদের দেখা হয়। শুভেন্দুর দাবি তৃণমূল 'দেড়জনের পার্টি'। তিনি সেই সভায় দাবি করেন চাঁপদানি কেন্দ্র রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জিতিয়েছিলেন তৃণমূলকে, যে রাজীব বেসুরো। আর সেই জায়গা থেকে তাঁর দাবি, কর্মচারি না হয়ে সহকর্মী হতে গেলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা উচিত। এদিকে বেশ কয়েকদিন ধরেই বেসুরো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার হাওড়া জেলার তৃণমূলের কো অর্ডিনেটার তথা রাজ্যের মন্ত্রী রাজীবকে দেখা গেল সেই পার্টিতে যেখানে শুভেন্দু এসেছিলেন। তবে শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। কারণ রাজীব পার্টিতে এসেছিলেন পরে।
বৈশালী ডালমিয়া ও তৃণমূল
হাওড়ায় বহুদিন ধরেই বৈশালী ডালমিয়াকে 'বহিরাগত' বলে পোস্টার দেখা গিয়েছে বালিতে। এর আগে ওপরে নানান ঘটনা ঘিরে বৈশালীর সঙ্গে দলের একটা অংশের দূরত্ব বাড়ে। লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগের দিনও নিজের প্রতিক্রিয়ায় বৈশালী ক্ষোভ উগড়ে দেন দলের একাংশর বিরুদ্ধে। এর আগে তিনি 'প্রধানমন্ত্রীকে বহিরাগত' বলা নিয়ে কটাক্ষও ছুঁড়ে দেন। সেই বৈশালী ছিলেন গতরাতের হাইভোল্টেজ পার্টিতে। তবে তাঁর সঙ্গে শুভেন্দুর দেখা হয়নি বলে খবর।
শুভেন্দু ও রুদ্রনীল
প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর সঙ্গে ওই পার্টিতে রুদ্রনীলের সাক্ষাতের পর স্বভাবতই জল্পনা চড়ে যে তাহলে কি এবার স্পষ্ট হতে চলেছে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ। আর একাধিক সংবাদমাধ্যকে দেওয়া সাক্ষৎকারে সেই সম্ভাবনা নিয়ে স্পষ্ট উত্তর না দিয়ে রুদ্রনীল বলেন , আপাতত তিনি ভাবছেন।