এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় না, রাজ্যেও লাগু! গুজরাতে 'CAA-র পার্ট' প্রয়োগ নিয়ে মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর
এক যাত্রায় পৃথক ফল হয় না, রাজ্যেও লাগু! গুজরাতে 'CAA-র পার্ট' প্রয়োগ নিয়ে মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর
বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যা করা হবে ১৯৫৫-র নাগরিকত্ব আইনের ওপরে ভিত্তি করে। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এই রাজ্যেও। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনী প্রচারেও বিজেপি সিএএ লাগু করার কথা বলেছিল। যদিও বিধি তৈরি না হওয়ার কারণে তা আর এগোয়নি। এব্যাপারে এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, গুজরাতে যা করা হয়েছে, তা সিএএ-র পার্ট।
শর্ত পালনের মাধ্যমেই নাগরিকত্ব
গুজরাাতের মেহসানা এহং আনন্দ জেলায় প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা হিন্দুরা আশ্রয় নিয়েছেন। এব্যাপারে সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে নির্দেশ জারি করে বলা হয়েছে, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনেই সেইসব মানুষদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। কোনও ব্যক্তির নাগরিক হিসেবে আবেদন নথিভুক্তির সময় শর্ত অনুসরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গ বলে রাখা ভাল, ২০১৯-এ সংসদে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধন করা হলেও, এর বিধি তৈরি না হওয়ায় এখনও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ কার্যকরী হয়নি।
ভোটের রাজনীতি
গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক মুখে পুরনো নাগরিকত্ব আইনে নাগরিকত্ব দেওয়ার এই নির্দেশ যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিরোধীরা এব্যাপারে ভোটে ফায়দা তোলার রাজনীতিই দেখছেন। গত অগাস্টে গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি আহমেদাবাদ কালেক্টরেটে পাকিস্তান থেকে আসাবেশ কিছু হিন্দুকে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র দিয়েছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সেখানে হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।
সিএএ-র পার্ট
এব্যাপারে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের বাইরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, এটা সিএএ-র পার্ট। সিএএ-র প্রয়োগ শুরু হয়ে গেল। ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সেখানেই তা শুরু হয়ে যাবে। বিরোধী দলনেতা বলেন, সিএএ আইন তো সংসদের দুই সদনেই পাশ করানো আছে। তিনি বলেন, তাঁরা (বিজেপি নেতারা) অপেক্ষা করছিলেন। তাহলে বিধি তৈরি হয়ে গিয়েছে। তিনি দাবি করেন, এই একই রুলে পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সমাজ, নবশুদ্র সমাজ যাঁরা ভিসা করতে গেলে, চাকরির ক্লিয়ারেন্স নিতে গেলে বলা হয় ১৯৭১-এর আগের দলিল আনো, সেই সমস্যা আর থাকবে না।
একযাত্রায় তো পৃথক ফল হয় না
বিরোধী দলনেতা বলেন, একযাত্রায় তো পৃথক ফল হয় না। এব্যাপারে আইন তো আগেই হয়ে গিয়েছিল। এবার পশ্চিমবঙ্গেও চালু হয়ে গেল। এর আগে রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ লাগুর দাবিতে সরব হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রের পদক্ষেপে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারাও বলার মতো জায়গা পাবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।