
বিরোধী দলনেতার 'শান্তিকুঞ্জে'র আকাশে উড়ছে ড্রোন! সুদীপ-কল্যাণের কাছে নালিশ জানাবেন দিব্যেন্দু
শান্তিকুঞ্জের আকাশে উড়ছে ড্রোন! অবাক হলেও এমনটাই বড় সত্যি। গত ২৪ ঘন্টা আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, একগুচ্ছ পদক্ষেপের কথাও বলা হয় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে দেওয়া নির্দেশিকাতে।

আর এরপরেই আজ শুক্রবার বিরোধী দলনেতার বাড়ির আকাশে ড্রোন উড়তে দেখা যায়। আর এই ঘটনায় চরম আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বাড়িতে সকালে ছিলেন না। সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী জানান, বারান্দায় আসতেই দেখি একটি ড্রোন চারপাশে উড়ছে। সাদা পোশাকের বেশ কয়েকজন লোক সেই ড্রোন ওড়াচ্ছিল বলেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সাংসদের। আর এই ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে বলে দাবি। শূধু তাই নয়, বাড়ির মধ্যের গোপনীয়তাও এতে ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে দাবি তাঁর।
ঘটনায় রীতিমত ক্ষুব্ধ দিব্যেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু এই ঘটনা ঠিক নয় বলে দাবি তাঁর। এই বিষয়টি নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নালিশ জানাবেন বলে জানিয়েছেন দিব্যেন্দু অধিকারী। লোকসভার মুখ্য সচেতক তিনি। অন্যদিকে পরিষদীয় নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এই বিষয়টি জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত সাংসদের। এমনকি লোকস্পিকার স্পিকার ওম বিড়লাকেও বিষয়টি জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সকালে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পরেই তাঁকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়া হয়। কেন্দ্রের সর্বস্তরের নিরাপত্তা পান তিনি।
শুধু তাই নয়, বর্তমানে শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন। বাড়িও সিআরপিএফ মুড়ে রেখেছে। আর এর মধ্যেই এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সিআরপিএফের তরফেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় তৃণমূলের দাবি, এদিন সকাল থেকে দিবেন্দু অধিকারী অভিযোগ করছেন তাঁর বাড়ির চারপাশে ড্রোনের নজরদারি চলছে। এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। সবটাই প্রশাসনের সিদ্ধান্ত। কেন-কি কারনে এই ড্রোন ওড়ানো হয়েছে বিষয়টি প্রশাসনই বলতে পারবে বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। যদিও এই বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও বক্তব্য করা হয়নি এখনও পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, বিরোধী দলনেতার বাড়ির চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আর এর মাধ্যমে অধিকারী পরিবারের উপর নজরদারি রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। আর এই বিতর্কের মধ্যেই ড্রোন রহস্য নয়া বিতর্ক তৈরি করেছে।