অমিত শাহের সভার আগেই 'অন্তিম' পদক্ষেপ শুভেন্দুর ! মমতাকে চিঠি পাঠিয়ে ছাড়লেন তৃণমূলের সদস্যপদ
তৃণমূল ছাড়লেন শুভেন্দু! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠালেন চিঠি
এবার তৃণমূলের (trinamool congress) প্রাথমিক সদস্যপদে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। কিছুক্ষণ আগে তিনি দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) চিঠি পাঠিয়েছেন। ইস্তফাপত্র যেন সঙ্গে সঙ্গে গ্রহণ করা হয়, তার জন্যও অনুরোধ করেছেন তিনি। তবে এই চিঠিতে প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়ার কোনও কারণ তিনি দেখাননি।
তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদে ইস্তফা শুভেন্দুর
তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন দুপুরে তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, পদত্যাগ পত্র যএন সত্ত্বর গৃহীত হয়। চিঠি তিনি লিখেছেন, তৃণমূলে কাজ করতে পেরে তিনি ধন্য। জীবনের অনেকটা সময় তিনি এই দলে ব্যয় করেছেন। সেই দলে থেকে মানুষের উপকার করতে পেরেছেন বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। দলে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেও ইস্তফার কথা জানিয়েছেন তিনি। পদত্যাগপত্রে রয়েছে বুধবারের তারিখ।
চিঠিতে কোনও কারণ উল্লেখ করেননি
তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদে ইস্তফা দিলেও সেখানে কোনও কারণ উল্লেখ করেননি তিনি। যেমনন এর আগে সরকারি পদ এবং মন্ত্রিত্ব ছাড়ার সময়ও তিনি কোনও কারণ উল্লেখ করেননি। ১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল গঠন করার কিছুদিন পরে, তিনি এবং তাঁর বাবা শিশির অধিকারী তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।
পদত্যাগ করেছেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরীও
এদিন পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরীও। তিনি ছিলেন এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান পদে। এদিন এই পদে তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার তিনিও গিয়েছিলেন পানাগড়ে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকে তিনিও যোগ দিয়েছিলেন।
একে একে ছেড়েছেন সরকারি পদ, মন্ত্রিত্ব
২৫
নভেম্বর
বুধবার
হুগলি
রিভারব্রিজ
কমিশনার্সের
চেয়ারম্যান
পদে
ইস্তফা
দিয়েছিলেন
তিনি।
এরপরেই
সেই
পদে
কল্যাণ
বন্দ্যাপাধ্যায়কে
নিয়োগ
করে
রাজ্য
সরকার।
সেই
সময়ই
শুভেন্দু
অধিকারী,
জেলা
পুলিশ
প্রশাসনকে
জানিয়েছিলেন
তাঁর
পাইলট
কার
লাগবে
না।
এর
দিন
দুয়েকের
মধ্যেই
তিনি
মন্ত্রিসভা
থেকে
পদত্যাগ
করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর
পাশাপাশি
পদত্যাগপত্র
পাঠিয়েছিলেন
রাজ্যপালের
কাছে।
চারটি
দফতরের
কাজে
সুযোগ
দেওয়ার
জন্য
তিনি
ধন্যবাদ
জানিয়েছিলেন
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বুধবার
বিকেল
চারটেয়
বিধানসভায়
গিয়ে
তিনি
নন্দীগ্রামের
বিধায়ক
পদে
ইস্তফা
দেন।
একইসঙ্গে
ইমেলেও
ইস্তফাপত্র
পাঠিয়েছিলেন
স্পিকারের
কাছে।
কিন্তু
তাঁর
ইস্তফাপত্র
নিয়ে
জটিলতা
তৈরি
হয়েছে।
গত
বেশ
কয়েকমাস
ধরে
ধীরে
ধীরে
তৃণমূলে
এবং
রাজ্য
মন্ত্রিসভায়
নিজের
সক্রিয়তা
কমিয়েছেন
শুভেন্দু
অধিকারী।
একটা
সময়
কল্যাণ
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মতো
নেতাদের
বলতে
শোনা
গিয়েছিল,
দম
থাকলে
দল
ছেড়ে,
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
প্রতীক
ছেড়ে,
পদ
ছেড়ে
কথা
বলুন
তিনি।
বৃহস্পতিবারের
দুপুরের
পর
থেকে
তৃণমূল
কিংবা
রাজ্য
সরকারের
সঙ্গে
আর
কোনও
সম্পর্কই
রইল
না
শুভেন্দু
অধিকারীর।
বিধিসম্মত নয় শুভেন্দুর পদত্যাগ পত্র, এখনই গৃহীত হচ্ছে না, জানিয়ে দিলেন স্পিকার