ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলরের হত্যায় আটক তৃণমূল নেতা ভাইপো! রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর
রবিবার ঝালদার (Jhalda) কংগ্রেস (congress) কাউন্সিলের (councillor) হত্যার ঘটনায় তাঁরই পরিবারের একাধিক সদস্যকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অন্যদিকে দিনের আলোয় জনপ্রতিনিধিদের হত্যার ঘটনায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে
রবিবার ঝালদার (Jhalda) কংগ্রেস (congress) কাউন্সিলের (councillor) হত্যার ঘটনায় তাঁরই পরিবারের একাধিক সদস্যকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অন্যদিকে দিনের আলোয় জনপ্রতিনিধিদের হত্যার ঘটনায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। এদিন কংগ্রেসের ডাকা পুরুলিয়া (purulia) বনধের মধ্যে দুপুরে ঝালদায় যাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)।
আটক পরিবারের একাধিক সদস্য
পুরুলিয়ার ঝালদায় ২ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের কাউন্সিলর তপন কান্দুর হত্যার ঘটনায়, তাঁরই পরিবারের একাধিক সদস্যকে আটক করেছে জেলা পুলিশ। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস কাউন্সিলরের দাদা, ভাইপো এবং বাবা। এবার যে ওয়ার্ড থেকে কংগ্রেস নেতা তপন কান্দু জয়ী হয়েছেন, সেই ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাকার বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন ভাইপো। দাদা নরেন কান্দুও স্থানীয় তৃণমূল নেতা বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ এখন রাজনৈতিক খুন না বলে পারিবারিক গণ্ডগোল কথাই বলতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব।
ঝালদা যাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি
এদিন পুরুলিয়া কংগ্রেসের ডাকা ১২ ঘন্টার বনধের মধ্যে বিকেল ৩ টে নাগাদ ঝালদায় যাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। থাকবেন পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতও। কংগ্রেসের তরফে বনধের ডাক দেওয়া হলেও মাধ্যমিক পরীক্ষারাথীদের বনধের আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। রবিবার হত্যার ঘটনার পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছিলেন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি তপ কান্দুকে হত্যা করে দিদি প্রমাণ করে দিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্ত্রাসের অপর নাম। দিদির সব চাই মানসিকতার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
|
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে তোপ বিরোধী দলনেতার
এদিকে ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলের হত্যার ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টুইটে তিনি বলেছেন, পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় ১২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে কেউ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেছেন, ৫ টি কংগ্রেস, ৫ টি তৃণমূল এবং দুটি নির্দলীয়রা পাওয়ায় বর্তমানে সেখানে ক্ষমতার টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। খুনের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, যদি নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
রবিবার বিকেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু
রবিবার বিকেলে গুলিবিদ্ধ হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। ওইগিন পুরুলিয়ায় কংগ্রেসের এক বৈঠকে যোগ দিয়ে নিজের শহরে ফেরেন। এরপর বিকেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে রাস্তায় হাঁটছিলেন তিনি। সেই সময়ই মোটর বাইকে আসা দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মাথার গুলি লাগায় সেখানেই তিনি পড়ে যান। এরপর তাঁকে রাঁচির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। খুনের ঘটনার পরেই ঝালদা থানার আইসির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব।
একপ্রান্তে বিচ্ছিন্ন বৃষ্টি, অন্যপ্রান্তে তাপপ্রবাহ! রঙের উৎসবের আগে বাংলার আবহাওয়ার আপডেট একনজরে