
হিঙ্গলগঞ্জে নিজের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ধর্না-নাটক! 'আসল তথ্য' তুলে ধরে মমতাকে নিশানা শুভেন্দু অধিকারীর
মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে শীতবস্ত্র না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মঞ্চেই বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বিডিওকে নিশানা করেছিলেন। আর এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারি নির্দেশিকা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

মঙ্গলবার ঠিক কী হয়েছিল
মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন ১৫ হাজার শীতবস্ত্র প্রদান করবেন। কিন্তু তা চাইতেই বিপত্তি। সরকারি আধিকারিকরা একে অপরের দিকে তাকাতে থাকেন। শীতবস্ত্র বিডিও অফিসে রয়েছে শুনেই মুখ্যমন্ত্রী রেগে যান। বলেন কষ্ট করে সেখানে যাবেন বলে, কম্বল, চাদর কিনে রেখেছেন। কিন্তু এসে দেখছেন নেই। তিনি সরকারি আধিকারিকদের শীতবস্ত্র নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। সরকারি আধিকারিকরা ঠিক মতো কাজ করেন না বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে শীতবস্ত্র আনা হলে তা বিতরণ শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী।
|
শুভেন্দু অধিকারীর 'প্রমাণ'
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী সরকারি মঞ্চে যে আচরণ করেছে, সেই বিষয়টিকে নিজের সরকারের বিরুদ্ধে ধর্না-নাটক বলে কটাক্ষ করে এদিন আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এব্যাপারে তিনি ২৬ নভেম্বরে সরকারি বিজ্ঞপ্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। সেই বিজ্ঞপ্তিটি উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসকের দফতর থেকে অতিরিক্ত জেলাশাসকের পাঠানো। সেখানে বলা হয়েছে, হিঙ্গলগঞ্জের, হাসনাবাদের, মিনাখাঁর, সন্দেশখালি - ১ ও সন্দেশখালি - ২-এর বিডিওরা জেলার গোডাউন (মালগুদাম) থেকে ওই কম্বল ও শীতবস্ত্র ২৮ নভেম্বর সংগ্রহ করে ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর নিজের ব্লকের অবস্থিত পঞ্চায়েতগুলিতে বসবাসকারী প্রান্তিক জনগণকে বিলি করতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রীর নাটক
সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, আসলে সারা রাজ্য জুড়েই চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নায় বসতে দেখে উনি আর নিজেকে আটকাতে পারছিলেন না। বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন পুরনো দিনের স্মৃতি খুব মনে পড়ছিল হয়তো। তাই একটা অজুহাত খুঁজছিলেন ধর্নায় বসার। সামনে আবার পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে। হঠাৎ করে ফন্দি আঁটা হয়ে গেল ! ডিএম, বিডিও কে বলির পাঁঠা করলে অসুবিধে কোথায়! এমনিতেই সরকারি আমলারা ওনার সামনে ঝুঁকতে ঝুঁকতে শিরদাঁড়া এত বাঁকিয়ে ফেলেছেন যে, সামান্য তিরস্কার করলেও, সেটা যদি প্রাপ্য নাও হয়ে থাকে তাহলেও টুঁ শব্দটি করবেন না। তাহলে একটু বকা ঝকা করে ধর্নায় বসে যাওয়া যাবে।
বিরোধী দলনেতা আরও বলেছেন, আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গরীব ও প্রান্তিক মানুষদের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী ধর্না দিচ্ছেন এই নাটক-টা হঠাৎ উনি বানিয়ে ফেলেন ও মঞ্চস্থ করলেন।
বিরোধী নেত্রী করবে বিজেপিই
কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, মাননীয়া যদি সরকারে থেকে বিরোধী নেত্রী সত্তার অভাব অনুভব করছেন, তাহলে ওনাকে বলব যে আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। তাঁকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ক্ষমতাচ্যুত করে আবার বিরোধী নেত্রী বানিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করবে বিজেপিই।