নন্দীগ্রামে ভোট মেরুকরণই হাতিয়ার! মমতাকে হারাতে ‘পাকিস্তান’-কার্ড খেললেন শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারীর গড় নন্দীগ্রামে এবার তাঁর প্রতিপক্ষ প্রাক্তন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রেস্টিজের এই লড়াই জিততে তাই উভয়পক্ষই মরিয়া।
শুভেন্দু অধিকারীর গড় নন্দীগ্রামে এবার তাঁর প্রতিপক্ষ প্রাক্তন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রেস্টিজের এই লড়াই জিততে তাই উভয়পক্ষই মরিয়া। মমতা যখন অন্যান্য কেন্দ্রের ভোটের জন্য প্রচারে ব্যস্ত, তখন নন্দীগ্রামে ঘাঁটি গেড়েছেন শুভেন্দু। তিনি নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে এবার সরাসরি ভোট মেরুকরণের তাস খেলে পাকিস্তান প্রসঙ্গও টেনে আনলেন তিনি।
মমতাকে হারাতে ধর্মীয় মেরুকরণের পথে শুভেন্দু
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোট-যুদ্ধ জিততে নন্দীগ্রামে প্রথম থেকেই ধর্মীয় মেরুকরণের পথে হেঁটেছিলেন শুভেন্দু। রামের সঙ্গে কৃষ্ণনাম জুড়ে তিনি ৭০ শতাংশ হিন্দু-ভোটকেই টার্গেট করছিলেন। মুখেও বলেছিলেন, তৃণমূল ৩০ শতাংশকে নিজেদের পক্ষে বলে ধরে এগোচ্ছে তো, আমাদের সঙ্গে ৭০ শতাংশ রয়েছেন। আর আমি সিঁদ কাটব ওই ৩০ শতাংশেও।
পাকিস্তান জিতলে যাঁরা বোমা ফাটায়, তাঁরাই তৃণমূলের নিয়ন্তা
ভোটের প্রাক্কালে নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, তৃণমূল এখন আমিরুল, সুফিয়ান, সমাদ, শাহাবুদ্দিনদের হাতে। ক্রিকেট ম্যাচে পাকিস্তান জিতলে যাঁরা বোমা ফাটায় তাঁরাই এখন তৃণমূলের নিয়ন্তা। তৃণমূল পুরোপুরি লুম্পেনদের হাতে চলে গিয়েছে। এই পাকিস্তান-প্রেমীরা মাত্র ২২টা সাড়ে ২২টা বুথের মালিক। বাকি জায়গায় আপনাদের সবাইকে এক হতে হবে।
ভোটে জিততে ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করছেন শুভেন্দু
শুভেন্দু ভোটে জিততে এভাবেই ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করছেন। তিনি সার ভেবেছেন, তৃণমূলের মূল শক্তি সংখ্যালঘু মুসলিম ভোট। তৃণমূলকে সংখ্যালঘুদের দলে ঠেলে দিয়ে যদি হিন্দু ভোটকে সম্বলিত করা যায়, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুৎকারে উড়ে যাবেন। সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন শুভেন্দু।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী, ঘোষণার পরই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণার পরই শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন এখানে সংখ্যালঘু ভোট বেশি বলেই তাঁদের ভরসায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরের আসন ছেড়ে বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি চলে এসেছেন। তাঁর দলকে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করতে তাই আর বেশি কষ্ট করতে হবে না।
ভোট বিভাজন প্রসঙ্গে মমতাকে পাল্টা দিয়েছিলেন শুভেন্দু
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি বিভাজন করতে চাইছে। তাই ওরা ৭০ শতাংশ, ৩০ শতাংশের কথা বলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর সরকার ১০০ শতাংশের জন্য। এর পাল্টা শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, আমরা বিভাজন করছি না। ৭০ শতাংশ-৩০ শতাংশের কথা বলেছিলেন মাননীয়ার ৫০০ কোটির বুদ্ধিদাতা।
প্রশান্ত কিশোর নির্বাচন ঘোষণার প্রাক্কালে কী বলেছিলেন
উল্লেখ্য প্রশান্ত কিশোর একুশের নির্বাচন ঘোষণার প্রাক্কালে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বিজেপি দুই অঙ্ক ক্রস করলে আমি ভোট-কৌশলীর কাজ ছেড়ে দেব। অর্থার বিজেপির ৯৯-এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। তারপর বলেছিলেন, আমাদের কাছে ১০০ শতাংশ আছে। আর বিজেপিকে লড়তে হবে ৭০ শতাংশের মধ্যে।