অভিযেক ১৪০০ বুথে হেরেছেন ২০১৯-এর লোকসভায়! গোপন তথ্য ফাঁস শুভেন্দুর
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শাহের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নিয়েই তোলাবাজ ভাইপো বলে কটাক্ষ করেছিলেন অভিষেককে।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। অমিত শাহের হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নিয়েই তোলাবাজ ভাইপো বলে কটাক্ষ করেছিলেন অভিষেককে। এবার দিলেন ডায়মন্ড হারবারে তাঁর জয় নিয়ে খোঁটা।
ডায়মন্ড হারবারে জয়ের কৃতিত্ব অভিষেকের নয়
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যতই দক্ষিণ কলকাতা ছেড়ে ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে জয়ের কৃতিত্ব নেন। কিন্তু ডায়মন্ড হারবারে জয়ের কৃতিত্ব তাঁর নয়। ডায়মন্ড হারবারে সিপিএমের শক্তি ঘাঁটিতে জয়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে এসেছিলেন সোমেন মিত্র। ২০০৯-এ গিয়ে তিনি যদি জিততেন, তাহলে তাঁর কৃতিত্ব বলে ধরা যেত।
শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কৃতিত্ব দিলেন শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী এই প্রসঙ্গে আরও একজনকে কৃতিত্ব দেন তিনি হলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায়ও বর্তমানে বিজেপিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ শোভন চট্টোপাধ্যায় ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার দায়িত্বে। তিনিই অভিষেককে জয়ের ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছিলেন। আদতে মমতা বন্যোলাপাধ্যায় ব্যাকগ্রাউন্ড ছাড়া কিছুই নেই অভিষেকের।
ঘাড় ধরে যুব সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল
শুভেন্দুর কথায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের না আছে কোনও ছাত্র রাজনীতির অভিজ্ঞতা, না আছে যুব সংগঠনের অভিজ্ঞতা। শুধু অভিষেককে যুব সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার জন্য তিন হাজার কর্মীর সামনে তাঁকে ঘাড় ধরে রাজ্য যুব সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কোনও দলে যুব ও আর যুবা সংগঠন শুনেছেন কখনও, তৃণমূলে তা করা হয়েছিল ভাইপোর জন্য।
১৪০০ বুথে পিছিয়ে ছিলেন, মাত্র ৩৫০ বুথে রিগিং
শুভেন্দু ২০১৪-র পর ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ভাইপোর জয় নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কী করে জিতেছেন, তা সবাই জানে। ১৪০০ বুথে পিছিয়ে ছিলেন তিনি। মাত্র ৩৫০ বুথে রিগিং করে তিনি জয় হাসিল করেছেন। একে জেতা বলে না, তিনি জোর করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন।