তৃণমূল ছেড়ে অমিতের সভায় বিজেপিতে যোগ দেবেন কারা, ৩১শে ধামাকার বার্তা শুভেন্দুর
তৃণমূল ছেড়ে অমিতের সভায় বিজেপিতে কারা, ৩১শে ধামাকার বার্তা শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ১৯ ডিসেম্বর। তারপর কেটে গিয়েছে ৪০ দিন। এবার সেই শুভেন্দুই জানিয়ে দিলেন ৩১ জানুয়ারি বড় ধামাকা হবে হাওড়ায়। ওইদিন হাওড়ায় অমিত শাহের সভায় অনেক পরিচিত মুখই তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেবেন বিজেপিতে। কারা তাঁরা, শুভেন্দু নাম না বললেও ইঙ্গিতেই স্পষ্ট করে দিয়ে গেলেন।
রাজীব-বৈশালীর যোগদান নিয়ে জল্পনা
সম্প্রতি হাওড়া তৃণমূলে বিরাট ফাটল দেখা দিয়েছে। খোদ হাওড়া জেলা সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা পদত্যাগ করেছেন। মন্ত্রিত্ব ও তৃণমূলের জেলা সভাপতিত্ব ছেড়ে তিনি মন দিয়েছেন খেলায়। আর তারপর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো স্বচ্ছ রাজনীতিক মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া বহিষ্কৃত হয়েছেন। ফলে তাঁদের যোগদান নিয়েই জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
শাহের আগমনে তৃণমূলে ফের ভাঙনের পদধ্বনি
রাজীব-বৈশালী ছাড়া আরও অনেক নেতা-নেত্রী তৃণমূলে বেসুরো বাজছেন। উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল থেকে শুরু করে হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী, নদিয়ার ব্লক সহ সভাপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলে ফের ভাঙনের পদধ্বনি শুরু হয়েছে। অমিত শাহ আসা মানেই যেন ভাঙনের ঘনঘটা তৃণমূলে।
কারা যোগ দেবেন, নাম বললেন না শুভেন্দু
বুধবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একান্ত সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু অধিকারী জানান, ৩১ জানুয়ারি হাওড়ায় অমিত শাহজি সভা করবেন। সেই সভায় তৃণমূল, কংগ্রেস, বামফ্রন্টের অনেক নেতানেত্রী যোগ দেবেন বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। কিন্তু কারা যোগ দেবেন, তাঁদের নাম উল্লেখ করতে চাননি শুভেন্দু অধিকারী।
তৃণমূলে থরহরিকম্প ধরে যাবে ভাঙন দেখে
শুভেন্দুকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়েছিল, তবে কি যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে এখন বেসুরো বাজছেন, তাঁরাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন ওই সভায়? শুভেন্দু শুধু বলেন, ওইদিন ধামকা হবে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুখ যোগ দেবেন বিজেপিতে। তৃণমূলে থরহরিকম্প ধরে যাবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
মমতাকে হারানোর চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
আর নন্দীগ্রামে তিনি কি প্রার্থী হবেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী সাফ জানান, বিজেপিতে এভাবে প্রার্থী হওয়া যায় না। যদি আমাকে প্রার্থী করে কোনও আপত্তি নেই। আর অন্য কেউ যদি প্রার্থী হন, তাঁকে ৫০ হাজার ভোটে জেতানোর দায়িত্ব আমার। নন্দীগ্রামকে আমি হাতের তালুর মতো চিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে ওই কেন্দ্র হারাবই।
রাজীব-বৈশালীর ভবিষ্যৎ কি বিজেপিতেই! আকারে-ইঙ্গিতে বার্তা দিলেন শুভেন্দু