মমতার বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে নয়া চমক দিতে চান শুভেন্দু! কে হবেন বিজেপির প্রার্থী, জল্পনা
মমতার বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে নয়া চমক দিতে চান শুভেন্দু! কে হবেন বিজেপির প্রার্থী, জল্পনা
বঙ্গ বিজেপির রণনীতি ঠিক করতে কোর কমিটির বৈঠক হল দিল্লিতে। সেই বৈঠকের ফাঁকে অমিত শাহের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই বৈঠকেই নন্দীগ্রামের চমক নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে কে প্রার্থী হবেন, জল্পনা শুরু হয়েছে তারপর।
নন্দীগ্রামে নয়া চমক দিতে চাইছেন শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য রাজনীতিতে চমক দিয়ে এই ঘোষণার পর শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, নন্দীগ্রামে তিনিই দাঁড়ান বা অন্য কেউ আধ লাখ ভোটে হারাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার সেই শুভেন্দুই নন্দীগ্রামে নয়া চমক দিতে চাইছেন।
মমতা বনাম লড়াই হবে না! নয়া চমক
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবার দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে একান্তে বৈঠকে নন্দীগ্রামে নিজে না দাঁড়িয়ে একটি চমক দেওয়ার আর্জি জানান। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী লড়াই নাও হতে পারে। তবে এমনই একটা চমক থাকবে, যা রাজ্য রাজনীতিতে ফের তুঙ্গে উঠবে চর্চা।
দিব্যেন্দুর নাম নিয়ে জল্পনা নন্দীগ্রামে
অমিত শাহের কাছে দরবার করে শুভেন্দু অধিকারী জানান, তিনি চান নন্দীগ্রামে একটা চমক দিতে। রাজনৈতিক মহলে এরপরে জল্পনা শুরু হয়েছে, তবে কি দিব্যেন্দু অধিকারীকে নন্দীগ্রামে প্রার্থী করতে চাইছেন শুভেন্দু। সবকিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে সেই সম্ভাবনাই জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মমতার লড়াই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে!
সেক্ষেত্রে নন্দীগ্রামে মমতা বনাম শুভেন্দু না হলেও, মমতার লড়াই অধিকারী পরিবারের এক সদস্যের সঙ্গেই হবে। যদিও দিব্যেন্দু তাঁর বিজেপি-যোগসহ এ যাবৎ যাবতীয় জল্পনা নাকচ করেছেন। তিনি বলেন, এসব অবাস্তব আলোচনা। এমন কোনও সম্ভাবনার কথা আমার অন্তত জানা নেই। পুরোটাই গুজব।
‘দলনেত্রীকে আমি শ্রদ্ধা করি, কেন লড়ব’
দিব্যেন্দু বলেন, আমি এখনও তৃণমূল সাংসদ। আমার পদের মেয়াদ এখনও তিন বছর বাকি রয়েছে। দলনেত্রীকে আমি শ্রদ্ধা করি। কেন আমি বিধানসভায় তাঁর বিরুদ্ধে লড়তে যাব। তবে দিব্যেন্দু স্বীকার না করলেও এটা স্পষ্ট যে তৃণমূলের সঙ্গে ক্রমেই দূরত্ব বাড়ছে তাঁর। সম্প্রতি পরপর ৮টি প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।
তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিতই স্পষ্ট হচ্ছে দিব্যেন্দু
তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিতই স্পষ্ট হচ্ছে দিব্যেন্দু অধিকারীর। প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ। তারপর লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি। তার আগে দিব্যেন্দু একই দিনে তিনটি পদ খোয়ান। এবার ৮টি পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এই সমূহ ঘটনাপ্রবাহ তাঁর তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিতই বহন করছে বলে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে বিজেপিতে যোগদানের জল্পনাও।
শুভেন্দু ভয়ে পালাতে চাইছেন নন্দীগ্রাম থেকে
পাশাপাশি এই প্রশ্ন আবার উঠেছে, নন্দীগ্রামে যদি দিব্যেন্দু অধিকারী দাঁড়ান, তবে শুভেন্দু কোথায় দাঁড়াবেন। যদি ধরে নেওয়াই যায় শুভেন্দু কাঁথি থেকে লড়বেন, তখন তৃণমূলকে মাইলেজ দেওয়া হয়ে যাবে। তৃণমূল তখন প্রচার করতে পারবে যে, শুভেন্দু ভয়ে পালিয়ে গেলেন নন্দীগ্রাম থেকে আর ভাইকে বাঘের মুখে ঠেলে দিলেন।
নন্দীগ্রাম আসনটি এবার সবথেকে গুরুত্বের
শুভেন্দু সাফ জানিয়েছেন, দল যেখানে দাঁড় করাবে সেখানে দাঁড়াতেই তিনি রাজি। এমনকী তা যদি ভবানীপুর কেন্দ্রও হয়, তিনি পিছপা হবেন না। নন্দীগ্রামে যেই দাঁড়ান না কেন, তাঁকে ৫০ হাজার ভোটে জেতাবেন শুভেন্দু। তা না হলে রাজনীতির ময়দান ছেড়ে চলে যাবেন। তাই শুভেন্দু দাঁড়ান বা না দাঁড়ান নন্দীগ্রাম আসনটি এবার রাজ্য রাজনীতিতে সবথেকে গুরুত্বের হতে চলেছে।
মোদীর সভায় ডাক তৃণমূল সাংসদ দেবের, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে বিশেষ টুইটে কী জানালেন অভিনেতা