মমতার ডাঁয়ে-বাঁয়ে ওঁরা কার লোক! একুশের আগে 'গোপন খবর' পেয়ে যাচ্ছেন শুভেন্দু
মমতা ডাঁয়ে-বাঁয়ে যাঁরা আছেন, তাঁরা কি সত্যিই তাঁর নিজের লোক? এক জনপ্রিয় বৈদ্যুতিন চ্যানেলের একান্ত সাক্ষাৎকারে এসে সেই প্রশ্নই তুলে দিলেন সদ্য় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এমন এক জল্পনার বাতাবরণ তৈরি করলেন, যাতে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় প্রশ্নচিহ্ন দাঁড় করিয়ে দেবে তৃণমূলকে।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন শুভেন্দু
সম্প্রতি নন্দীগ্রাম থেকে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীকে কোণঠাসা করতে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক পরিকল্পনা করছে। শুভেন্দুও পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদের মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমি সবদিক ভেবেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানোর
শুভেন্দু বলেন, এমন একটা সময়ে আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যখন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানো যেতে পারে ক্ষমতা থেকে, হারানো যেতে পারে তৃণমূলকে। তাই কী কী সমস্যা আসতে পারে, তা আগাগোড়া ভেবেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে আমাকে।

কোথা থেকে নিয়ন্ত্রণ হয় তৃণমূল পার্টি ও সরকার
শুভেন্দুর কথায়, অর্জুন সিং দল ছাড়ার পর শতাধিক কেস দেওয়া হয়েছে। মুকুল রায়কেও দেওয়া হয়েছে ৫০টির মতো কেস। আমার বিরুদ্ধেও কেস দেওয়ার চেষ্টা করেছে পারেনি। অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমি তো এই পার্টি ও সরকারের ভিতরে ছিলাম এতদিন। তা কোথা থেকে নিয়ন্ত্রণ হয়, তা জানি।

ওনার ডাঁয়ে-বাঁয়ে যাঁরা আছেন, সবাই ওনার লোক নন
এ প্রসঙ্গেই শুভেন্দু বলেন, সব খবরই আসে। আমার তো লোক আছে, নাকি! ওনার ডাঁয়ে-বাঁয়ে যাঁরা আছেন, সবাই ওনার লোক নন। ফলে কোথায় কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তা আমিও জানতে পারি। আগেও এমনটা হয়েছে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়েও আমার ফোন ট্যাপ করা হত। আর আধিকারিকরা আমায় জানিয়ে দিতেন আপনার ফোন ট্যাপ করা হয়েছে।

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি সিস্টেমটাই বদলে দিতে
অতএব তৈরি হয়েই রাজনীতির ময়দানে আমি নেমেছি। দেড়জনের পার্টিতে থাকতে চাইনি। সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করবেন একজন আর তাঁর ভাতুষ্পুত্র, তা হতে পারে না। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি পুরো সিস্টেমটাই বদলে দেওয়া জন্য। বাংলার গর্ব হিসেবে বিবেকানন্দ-রবীন্দ্রনাথ-বিদ্যাসাগরের নাম পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই আমার লক্ষ্য।