থানায় ঢুকে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ! শুভেন্দু'র বিরুদ্ধে কমিশনে তৃণমূল
হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন! বালিগঞ্জ এবং আসানসোল লোকসভা নির্বাচনে উপ-নির্বাচন ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। কেউ কাউকে জায়গা ছাড়তে নারাজ। একদিকে দুই-শূন্য করতে জোর লড়াই চালাচ্ছ শাসকদল। অন্যদিকে আসানসোল নিজের গড় ধরে রাখতে মরিয়া
হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন! বালিগঞ্জ এবং আসানসোল লোকসভা নির্বাচনে উপ-নির্বাচন ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। কেউ কাউকে জায়গা ছাড়তে নারাজ। একদিকে দুই-শূন্য করতে জোর লড়াই চালাচ্ছ শাসকদল। অন্যদিকে আসানসোল নিজের গড় ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি।
একেবারে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপি। আর এই অবস্থায় অভিযোগ পালটা অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। আর এই অবস্থায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তৃণমূলের।
চড়ছে রাজনৈতিক পারদ-
বালিগঞ্জ উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক সুব্রতের কেন্দ্রে এবার তৃণমূলের প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। যিনি কিনা বিজেপির প্রাক্তন নেতা। পালটা কেয়া ঘোষকে ওই কেন্দ্র প্রার্থী করা হয়েছে বিজেপির তরফে। এমনকি বামেদের প্রার্থীও হেভিওয়েট। ফলে ক্রমশ চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। ইতিমধ্যে বাবুলকে ভোট না দেওয়ার দাবি তুলেছেন একাংশ। এমনকি সংখ্যালঘু মানুষদেরও একাংশও বাবুলকে মেনে নিতে পারেননি। এই অবস্থায় সেই জায়গা নিতে মরিয়া বিজেপি।
পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
বালিগঞ্জ বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষের হয়ে প্রচারে নামেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই প্রচারেই পুলিশকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই মর্মে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এই চিঠি কমিশনকে লিখেছেন কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু ঠিক পুলিশকে কি বলে ছিলেন সে বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে বিজেপি নেতা। যদিও এহেন অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য এখনও পর্যন্ত করেননি শুভেন্দু অধিকারী।
কি বলছেন কুণাল ঘোষ
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দু'পাতার একটি চিঠি নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখছেন, গত ২৮ মার্চ রবীন্দ্র সরোবর থানায় এই ঘটনা ঘটে। ভোটের পরিপ্রেক্ষিতেই সেখানে তিনি। এমনকি থানায় ঢুকে পুলিশকে হুমকি দিয়ে আসেন বলে দাবি কুণালের। বদলি করে দেওয়ার পাশাপাশি ক্লোজ করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কুণাল। এমনকি বিজেপির হয়ে কাজ করার জন্যে পুলিশকে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, জনপ্রিতিনিধি হিসাবে ভারতীয় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই এহেন কাজ শুভেন্দু অধিকারী করেছেন বলে দাবি কুণাল ঘোষের। আর সেখানে দাঁড়িয়েই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি কুণালের।
কমিশনের তরফে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা হয়নি
যদিও এই বিষয়ে এখনও নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্ট ভাবে কিছু বলা হয়নি। এর আগে আসানসোলে তৃণমূল বিধায়কের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নেয়। এখন দেখার এই ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ কমিশনের তরফে নেওয়া হয় কিনা।