মমতার আন্দোলনের কথায় বিজেপিকে তাতাচ্ছেন শুভেন্দু, ডাক দিলেন রাস্তায় নামার
বিজেপিকে তাতাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদাহারণ টানতেও কসুর করলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেত্রী তৃণমূল থেকে শুরু করে সিপিএমের আন্দোলনের কথা বলে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বার্তা দিলেন শুভেন্দু।
বিজেপিকে তাতাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদাহারণ টানতেও কসুর করলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেত্রী তৃণমূল থেকে শুরু করে সিপিএমের আন্দোলনের কথা বলে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বার্তা দিলেন শুভেন্দু।
দুর্গাপুরে বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিকে আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিলেন। তিনি বলেন, রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে হলে আন্দোলনকে আরও তীব্র রূপ দিতে হবে। নেতা-নেত্রীদের আরও সক্রিয় হতে হবে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই নির্বাচনকেই টার্গেট করেত হবে আমাদের।
শুক্রবার থেকে বিজেপির দুদিনের রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠক বসেছিল বর্ধমানের দুর্গাপুরে। সেই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ তথা বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, এমনকী পাহাড়ের সাংসদ রাজু সিং বিস্ত থেকে শুরু করে সৌমিত্র খান, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ রাজ্য নেতৃত্বের প্রায় সকলেই।
রাজ্য আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি কোন পথে চলবে, কোন কর্মসূচিকে অগ্রাধিকার দেবে, তা নিয়েই এই বৈঠকে মূলত আলোচনা হয়। এই মুহূর্তে রাজ্যে অজস্র ইস্যু। সেই ইস্যুকে কাজে লাগাতে গেলে বিজেপির কী করণীয়, সে প্রসঙ্গে নিজের মতপ্রকাশ করেন শুভেন্দু।
সূত্রের খবর শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি কর্মীদের তাতাতে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের উদাহরণও তুলে ধরেন। বিরোধী নেত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে আন্দোলন থেকে শুরু করে কংগ্রেসি আমলে সিপিএমের আন্দোলনের কথা বলেন শুভেন্দু। শুভেন্দু অধিকারীর আসল উদ্দেশ্য ছিল বিজেপিকে বাংলায় আন্দোলনের পথ চেনানো।
বিজেপিকে আন্দোলনের রূপরেখা বোঝাতে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদাহারণ দিতেও পিছপা হননি। বিরোধী দল হিসেবে তাঁদেরও আন্দোলনকে সেই জাঁঝ আনতে হবে। বিরোধী নেত্রী মমতা বন্যোিসপাধ্যায় ও সিপিএমের আন্দোলনে যে ঝাঁঝ ছিল, তা বিজেপির নেই। সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন মমতা বন্দ্যোপাদ্য়ায়ের শূন্য থেকে শীর্ষে পৌঁছনো এবং তাঁর লড়াই কথা তুলে ধরে বিজেপিকে উজ্জীবিত করেন। তিনি বলেন. সিপিএমেরও বিভিন্ন আন্দোলন দেখে বঙ্গ বিজেপির শেখা উচিত। সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ-সহ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের সামনে বিজেপির নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তিনি সরব হন।
তিনি বলেন, যত দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যে, তার তুলনায় কটা আন্দোলন হয়েছে রাস্তায় নেমে। সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে গণআন্দোলনে রূপান্তরিত করতে পেরেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তায় পড়ে থেকে আন্দোলন করেছিলেন, তাই সাফল্য এসেছিল। রাস্তায় থেকে ওইভাবে আন্দোলন করতে না পারলে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা যাবে না।
শুভেন্দু বলেন, বিজেপিকে আরও বেশি করে রাস্তায় নামতে হবে। আন্দোলনের মধ্যে না থাকলে সংগঠনকে মজবুত করা যাবে না। গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিডেপি নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নিয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে বিজেপি আর বড় কোনও আন্দোলন করেনি। রাস্তায় নেমে আরও আন্দোলন করতে হবে। সেটারই অভাব রয়ে যাচ্ছে।