মমতাকে হারানোর হিসাব বুঝিয়ে দিলেন, শুভেন্দু খেললেন ভোট-মেরুকরণের তাস
মমতাকে হারানোর হিসাব বুঝিয়ে দিলেন, শুভেন্দু খেললেন ভোট-মেরুকরণের তাস
শুভেন্দুর নিশানায় সেই সংখ্যালঘু ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়তে নন্দীগ্রামে ৫০ হাজার ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন শুভেন্দু। তারপর খেজুরির সভা থেকে বলেছিলেন, আপনার ভরসা তো ওই ৬২ হাজার ভোট। আর ২ লক্ষ ১৩ কারা, জয় শ্রীরাম বলে যাঁরা। অর্থাৎ তাঁর ভোট মেরুকরণের রাজনীতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল ওই বার্তায়।
৩০ শতাংশ ভোটের কথায় মেরুকরণের বার্তা
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই সংখ্যালঘু ভোট আঈর হিন্দু ভোট মেরুকরণের খেলা শুরু করেছিলেন। তাঁর নির্বাচনী বক্তৃতার ধরণ আমূল বদলে গিয়েছিল বিজেপির মঞ্চে। শুধু জয় শ্রীরাম বা কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে নয়। তিনি একেবারে ৩০ শতাংশ ভোটের কথা উল্লেখ করে বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে।
মমতার ভরসা ৬২ হাজার ভোট, আমাদের ২ লাখ ১৩
বিজেপিতে যোগদানের পর উত্তর ২৪ পরগনার জনসভায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেছিলেন, তৃণমূল ৩০ শতাংশকে টার্গেট করছে, বাকি ৭০ শতাংশ আমাদের সঙ্গে আছেন তো। এবার খেজুরি থেকেও সেই একই অঙ্কে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। তিনি বলেন, কোন অঙ্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবেন, সে তার কাছেই আছে। মাত্র ৬২ হাজার ভোট ওদের টার্গেট, আমাদের ২ লক্ষ ১৩। আমি কিন্তু সিঁধ কাটব ওই ৬২ হাজারেও।
আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সভা কটাক্ষ, এখানেও সংখ্যালঘু তাস
শুভেন্দু অধিকারী হেঁড়িয়ার পাল্টা সভা থেকে ধর্মীয় মেরুকরণের কার্ড খেললেন। কোনও সম্প্রদায়ের নাম না করেও সংখ্যা দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন তিনি কোন শ্রেণির ভোটকে টার্গেট করছেন। মমতার নন্দীগ্রামের সভাকে হায়দরাবাদের আসাদউদ্দিন ওয়েইসির সভা বলে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি। প্রতিটি কথায় তিনি সংখ্যালঘু তাস খেলছেন।
মমতার সভায় কারা গিয়েছিল, নাম বলতে চান না শুভেন্দু
শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাঁরা এসেছিল, তাঁদের কাউকেই এলাকার মানুষ বা স্থানীয় মানুষ বলেই মনে হয়নি। কিছু স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বাকিটা আপনারা জানেন। সভায় কারা গিয়েছিল আপনারা সবাই দেখেছেন। কারা ছিল, আমি আলাদা করে কারও নাম করতে চাই না।
শুভেন্দু হুগলি পা রেখেই 'ক্ষমা' চাইলেন কোন ইস্যুতে!মুকুলের পথেই নন্দীগ্রামের নেতার নিশানায় ফের মমতা