মুকুলের লেগেছিল তিন বছর, শুভেন্দু ১৮ দিনেই পেলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর পদমর্যাদা
মুকুলের লেগেছিল তিন বছর, শুভেন্দু ১৮ দিনেই পেলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর পদমর্যাদা
মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার তিন বছর পর কোনও পদ পেয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপিতে গিয়েই ১৮ দিনের মধ্যে গুরুত্বের আসনে বসে পড়লেন। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে অধিকতর গুরুত্ব পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রাক্তন ক্রাইসিস ম্যানেজার শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে মুখ হয়ে ওঠার আগেই মিলে গেল নতুন পদ।
১৮ দিনের মধ্যেই মিলে গলে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী-সম পদ
শুভেন্দু ২০২০-র ১৯ ডিসেম্বর যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তৃণমূল ছেড়ে ৯ জন বিধায়ক ও একজন সংসদসহ গোটা ৪০ নেতাকে নিয়ে তিনি দলবদল করেছিলেন বিজেপির সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অমিত শাহের হাত ধরে। শুভেন্দু প্রথম থেকেই এমন ডাল ধরেছেন বিজেপিতে যে, যাওয়ার ১৮ দিনের মধ্যেই মিলে গলে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী-সম এক পদ।
জেসিআইয়ের চেয়ারম্যান হলেন শুভেন্দু অধিকারী
শুভেন্দু বিজেপিতে গিয়েই নতুন পদ পেলেন। তাঁর নাম কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কাছে জেসিআই অর্থাৎ জুট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান হিসেবে পাঠানো হয়েছিলষ কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রকের কমিটি তা অনুমোদন দিয়েছে। ফলে শুভেন্দু দলবদলের ১৮ দিনের মাথায় হয়ে গেলেন জেসিআইয়ের চেয়ারম্যান। এই পদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমান।
শুভেন্দুকে বিজেপিতে এসেই বসলেন গুরুত্বের আসনে
শুভেন্দুর এই পদপ্রাপ্তি থেকে স্পষ্ট বিজেপি তাঁকে বঙ্গ রাজনীতিতে কতথানি গুরুত্ব দিতে চাইছে। বঙ্গ বিজেপির অন্যতম মুখ হয়ে উঠতে চলেছেন তিনি। বঙ্গে বিজেপির উত্থান হয়েছে আগেই। দিলীপ-মুকুলের হাত ধরে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জের জায়গায় চলে এসেছে তাঁরা। কিন্ত দিলীপ-মুকুলদের দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কোনও মুখ ছিল না। সেই অভাব পূরণ করতেই শুভেন্দুকে গুরুত্ব দিয়ে বিজেপিতে আনা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিজেপির পালে হাওয়া বইয়ে দিতে মুকুলের সঙ্গী শুভেন্দু
মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর। তারপর থেকেই বিজেপির পালে হাওয়া বইতে শুরু করে। বিজেপি যে তলে তলে কতটা বেড়েছে তার প্রমাণ মেলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গে দারুন ফল করে গেরুয়া শিবির। তারপর ২০১৯-এ বিজেপি ঘুম ছুটিয়ে দেয় তৃণমূলের।
বিজেপি সাফল্যের পথ প্রশস্থ করতেই শুভেন্দুর আগমন
বিজেপির এই বিরাট সাফল্যে কার বেশি কৃতিত্ব তা নিয়ে তর্ক আছে। কিন্তু দিলীপ ঘোষ ও মুকুলের রায়ের উভয়ের কৃতিত্বই রয়েছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলকে কাজে লাগিয়ে দল ভাঙানোর কাজটা মুকুল রায় যেভাবে করেছিলেন তাতে বিজেপি সাফল্যের পথ প্রশস্থ করেছিল। এবার সেই দলে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুকে নিয়ে রয়েছে বিজেপির বড় পরিকল্পনা
শুভেন্দু অধিকারী দলের একেবারে মাথার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। অমিত শাহ তাঁকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বলেছেন। আর অমিত শাহ দিল্লি ফিরে গিয়েই শুভেন্দুর জন্য় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সমমর্যাদাসম্পন্ন একটটি পদে তাঁকে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তা মঞ্জুরও হয়ে গিয়েছে। ফলে শুভেন্দুকে নিয়ে বিজেপির বড় পরিকল্পনা রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খুন করে বাংলায় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছে বিজেপি, মোদী সরকারকে নিশানা করে আক্রমণ তৃণমূলের