তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ঝাঁকে ঝাঁকে, দলবদলের ধাক্কায় হাতবদল পুরো জেলা পরিষদের
দলবদলের ধাক্কায় পুরো জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে চলে গেল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেগা যোগদান শেষে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ছেড়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল-সহ ১৪ জন সদস্য যোগদান করেন।
দলবদলের ধাক্কায় পুরো জেলা পরিষদ বিজেপির দখলে চলে গেল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেগা যোগদান শেষে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ছেড়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল-সহ ১৪ জন সদস্য যোগদান করেন। তার ফলে ৩২ সদস্যের মালদহ জেলা পরিষদের বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেল।
মালদহ জেলা পরিষদ বিজেপির!
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, দুজন জেলা পরিষদ সদস্য আগেই বিজেপিতে যোগদান করেন। ফলে ৩২ আসনবিশিষ্ট মালদহ জেলা পরিষদে বিজেপির আসনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯। এদিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ ১৪ জন সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। ফলে বিজেপির আসনসংখ্যা দাঁড়ায় ২৩।
পঞ্চায়েত আইন মেনে দলবদল বিজেপিতে
শুভেন্দুর কথায়, পঞ্চায়েত আইন মেনে দল ছেড়ে জেলা পরিষদের সদস্যরা একত্রে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। ফলে কোনওভাবেই তাঁরা দলবিরোধী আইনে পড়বেন না। এখন মালদহ জেলা পরিষদ বিজেপির। একুশের নির্বাচনের মুখে এটা বিরাট সাফল্য বিজেপির। মালদহে তৃণমূলে একাধিক গোষ্ঠী। তার ফলে রাজনীতি করার জায়গা নেই। তাই দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান বলে ব্যাখ্যা জেলা পরিষদ সদস্যদের।
তৃণমূলের জেলা পরিষদ রাতারাতি বিজেপির
মালদহ জেলা পরিষদ এতদিন তৃণমূলের দখলে ছিল। দলবদলের ধাক্কায় তা রাতারাতি বিজেপির হয়ে গেল। এটাই প্রথম কোনও জেলা পরিষদ, যা বিজেপি দখল নিল বাংলায়। এর আগে সমস্ত জেলা পরিষদই তৃণমূলের দখলে ছিল। আর ভোটের মুখে মালদহ জেলা পরিষদ হাতছাড়া হল তাদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তা বিরাট ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আরও যাঁরা
এদিন তৃণমূলের চারজন বিদায়ী বিধায়ক যোগদান করেন বিজেপিতে। এছাড়া একুশের নির্বাচনের তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হওয়া সরলা মুর্মুও বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁদের সঙ্গেই মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি-সহ ১৪ সদস্যের যোগদান প্রক্রিয়া হয়। এছাড়া টলিউডের তনুশ্রী চক্রবর্তীও বিজেপিতে যোগদান করেন।