লোকসভার সঙ্গেই রাজ্যের বিধানসভা ভোট! শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ঘিরে জল্পনা
বিপুল ভোটে বিজেপিকে (bjp) হারিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার কয়েক মাস পর থেকেই একের পর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে জেরবার বাংলার শাসক তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বলছেন, যেভাবে ২০০৬
বিপুল ভোটে বিজেপিকে (bjp) হারিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার কয়েক মাস পর থেকেই একের পর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে জেরবার বাংলার শাসক তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। সোশ্যালমিডিয়ায় অনেকেই বলছেন, যেভাবে ২০০৬-এ শেষের শুরু হয়েছিল বঙ্গ সিপিএম-এর সেইভাবেই শেষের শুরু হয়েছে তৃণমূলের। এব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari) দাবি ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে। যদিও তৃণমূল সেই দাবিকে উড়িয়ে গিয়েছে।
২০২৬-এ নয় ২০২৪-এ রাজ্যে বিধানসভা ভোট
শুক্রবার
বিরোধী
দলনেতা
গিয়েছিলেন
বাঁকুড়ার
সোনামুখিতে।
সেখানে
বিজেপির
তরফে
হওয়া
সংকল্প
যাত্রায়
তিনি
দাবি
করেছেন,
২০২৬
পর্যন্ত
অপেক্ষা
নয়,
২০২৪-এ
রাজ্যে
বিধানসভা
ভোট
হবে।
এব্যাপারে
শুভেন্দু
অধিকারী
আগেই
দাবি
করেছিলেন,
তৃণমূল
সরকার
রাজ্য
চালাতে
গিয়ে
আর্থিক
বিশৃঙ্খলা
ডেকে
এনেছে।
কোষাগারের
এমনই
বেহাল
দশা
যে
সরকার
চালানোই
অসম্ভব
হয়ে
পড়বে
বলেও
মন্তব্য
করেছিলেন
বিরোধী
দলনেতা।
পাশপাশি
তিনি
অভিযোগ
করেছিলেন
রাজ্যের
আইনশৃঙ্খলার
হালও
খারাপ।
এই
অবস্থায
শাসক
তৃণমূল
হাল
ছেড়ে
দিতে
বাধ্য
হবে।
নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে
বিরোধী
দলনেতা
অভিযোগ
করেছেন,
রাজ্য
সরকারের
বিরুদ্ধে
দুর্নীতি
প্রকাশ্যে
আসতেই
নজর
ঘোরানোর
চেষ্টা
চলছে।
পার্থ
চট্টোপাধ্যায়ের
নাম
না
করে
তিনি
বলেছেন,
সিবিআই
তাঁকে
ঘন্টার
পর
ঘন্টা
জিজ্ঞাসাবাদ
করছে।
অন্যদিকে
শিক্ষা
প্রতিমন্ত্রী
দুদিনের
জন্য
নিরুদ্দেশ।
সেই
সময়
অর্জুন
সিং-এর
দলবদল।
আর
সেই
সময়েই
বিশ্ববিদ্যালয়গুলির
আচার্য
বদলের
প্রসঙ্গ
সামনে
আনা
হচ্ছে।
তিনি
আরও
অভিযোগ
করেছেন,
কেন্দ্রীয়
সরকারের
তথ্যমিত্র
কেন্দ্রগুলিকে
বন্ধ
করে
দিয়ে,
বাংলা
সহায়তা
কেন্দ্র
তৈরি
করে
একহাজার
ক্যাডার
তৈরি
করা
হয়েছে।
এছাড়াও
মিড-ডে
মিলের
সুপারভাইজার
নিয়োগেও
কারচুপি
করা
হয়েছে।
বাম জমানাতেও ভোট এগিয়ে আনার উদাহরণ রয়েছে
প্রসঙ্গতক্রমে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে বাম জমানাতেও ভোট এগিয়ে এসেছিল। জ্যোতি বসু নেতৃত্বে তৃতীয় বামফ্রন্ট সরকারের কার্যকালের মেয়াদ ছিল ১৯৯২ পর্যন্ত। কিন্তু পরপর বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং এবং চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস বিরোধী সরকার ব্যর্থ হওয়ার পরে ১৯৯১ সালে সাধারণ নির্বাচন হয়। সেই সময় ভোট একবছর এগিয়ে এনেছিল বাংলার তৎকালীন বাম সরকার।
তৃণমূলের কটাক্ষ
যদিও বিরোধী দলনেতার দাবিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। তাদের তরফে বলা হয়েছে, বিজেপি ছেড়ে নেতা-কর্মীরা বেরিয়ে যাচ্ছে। যার জেরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে রাজ্য নেতৃত্বের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। সেই সময়ে দলের নিচু তলার কর্মীসদের সামনে গাজর ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা নিজেও জানেন যে ২০২৪-এ সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন হবে না, বলা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।
Weather Update: উপকূলের আকাশে মেঘের ধনঘটা! একনজরে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস