বীরবাহা নামে যেকেউ হতে পারে, বিধায়িকাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের দায় মানতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী
বীরবাহা নামে যেকেউ হতে পারে, বিধায়িকাকে কুরুচিকর মন্তব্যের দায় মানতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী
বীরবাহা নামে যেকেউ থাকতে পারে। হাঁসদা বা বিধায়ক শব্দ তিনি উচ্চারণ করেননি। কাজেই তিনি কোনও রকম আদিবাসী জনজাতিক অপমান করেননি। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ ওড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই নিয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন, উনি আদিবাসী-জনজাতি মহিলাদের হাত ধরেন গ্লাভস পরে। এমনই তাঁর আদিবাসী প্রীতি।
বীরবাহা হাঁসদাকে অপমান
তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আদিবাসী নেত্রীকে জুতোর তলায় রাখেন বলে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন। তারপরেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আদিবাসী সম্প্রদায়ের অপমান করেছেন তিনি এমনই অভিযোগ করে শুভেন্দু অধিকারীর নামে একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। বীরবাহা হাঁসদা নিজে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিধানসভায় বিক্ষোভ বিজেপির
এদিকে বিধানসভায় আজ বিজেপির পক্ষ থেকে অখিল গিরির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিজেপির পক্ষ থেকে প্রথমে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়। কিন্তু স্পিকার সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। তারপরেই বিজেপির পক্ষ থেকে বিধানসভা কক্ষের বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ছবি গলায় ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো না হলে তাঁরা বিক্ষোভ জারি রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
অখিল গিরিকে গ্রেফতারের দাবি
এদিকে আবার বিজেপির মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে অখিল গিরির গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল করছে। তাতে সামিল হয়েছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা মিছিলে সামিল হয়েছেন। ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ে জনসভা করছেন তাঁরা। বিজেপি নেতা কর্মীরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপসী মুর্মুর ছবি নিয়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অখিল গিরি আদিবাসী সমাজের অপমান করেছেন। মহিলাদের অপমান করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
অখিল গিরির মন্তব্য
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে কু মন্তব্য করেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তারপরেই প্রতিবার পারদ চড়ে গোটা রাজ্যে। যদিও সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে িচঠি লিখে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু তাতেও হবে না অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবিতে পারদ চড়িয়েছে বিজেপি। নেতৃত্বে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। অখিল গিরির বিরুদ্ধেই নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন তিনি।