শুভেন্দু আমূল বদলে গেলেন ১০ দিনেই! বাংলা-বাঙালি ছেড়ে মুখের ভাষায় হিন্দি টান
শুভেন্দু আমূল বদলে ফেললেন ১০ দিনেই! বাংলা-বাঙালি ছেড়ে মুখের ভাষায় হিন্দি টান
মাত্র ১০ দিন শুভেন্দু গিয়েছেন বিজেপিতে। এরই মধ্যে রপ্ত করে নিয়েছেন গেরুয়া-ধাঁচ। পোশাকে এখনও রয়েছেন নীল-সাদা। তবে চাল-চলন, আচার-আচরণে তিনি ১০ দিনেই খাঁটি বিজেপি হয়ে উঠেছেন। বিজেপিতে যোগদান মঞ্চ থেকে শুরু করে সমস্ত সভাতেই তিনি আদর্শ বিজেপি নেতা হওয়ার প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন।
শুভেন্দু বাঙালিয়ানার সঙ্গে মিশেল ঘটাচ্ছেন হিন্দির
শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েই চুটিয়ে সভা করছেন। প্রতি সভায় লোক টানছেন শুভেন্দু। ব়্যালিতেও উপচে পড়ছে ভিড়। মাত্র ১০ দিনেই তিনি বড় নেতা হওয়ার সমস্ত ক্যারিশ্মা দেখি্য়ে দিয়েছেন। আর তার থেকেও বড় কথা শুভেন্দু বিজেপি নেতা হিসেবে বাঙালিয়ানার সঙ্গে মিশেল ঘটাচ্ছেন হিন্দির। বাংলার সঙ্গে বলছেন হিন্দিও। যেটা আগে দেখা যেত না তাঁর ভাষণে।
রাম নামের সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন কৃষ্ণকেও
শুভেন্দু তাঁর ভাষণে দিদির জায়গা মোদীর নামগান করবে সেটা তো স্বাভাবিক। কিন্তু শুভেন্দুকে দেখা গিয়েছে রাম নামে বেশ মানিয়ে নিতে। তারপর রাম নামের সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন কৃষ্ণকেও। কৃষ্ণ নামে বাঙালিকে অনেক বেশি আকৃষ্ট হয়। তাই কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে-র বার্তায় ঘরে ঘরে পদ্মফুল ফোটানোর রাস্তা খুঁজছেন শুভেন্দু।
নিজেকে হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান আখ্যা শুভেন্দুর
সেইসঙ্গে স্বল্প দিনেই রপ্ত করে নি্য়েছেন নরম হিন্দুত্ব। সনাতন হিন্দুত্ববাদীদের বার্তা দিতেই শ্রীরামের সঙ্গে জুড়েছেন কৃষ্ণ নাম। আবার নিজেকে হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান আখ্যা দিয়ে জেহাদিদের বার্তা দিতেও ভুলছেন না প্রতিটি সভায়। তৃণমূলের ভোট করানোয় জেহাদিদের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন। আবার তিনি টার্গেট করেছেন ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট বাদ দিয়ে ৭০ শতাংশ হিন্দু ভোটকে।
ভাইপো হয়ে গিয়েছে ভাতিজা, আর পিসি এখন বুয়া
আর সবথেকে তচমকপ্রদ যে পরিবর্তন লক্ষ করা গিয়েছে শুভেন্দু মধ্যে, তা হল তাঁর মুখের ভাষায় অবাঙালি টান। মঞ্চের বক্তব্যে বাংলা মাঝেমধ্যেই বদলে যাচ্ছে হিন্দিতে। ভাইপো হয়ে গিয়েছে ভাতিজা। আর পিসি এখন বুয়া। বিজেপির অবাঙালি নেতাদের ঢঙে তিনি বুয়া-ভাতিজাকে নিশানা করছেন প্রতিনিয়ত।
বাংলার সঙ্গে হিন্দি বলতে শোনা যাচ্ছে শুভেন্দুকে
শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য রাখতে গিয়ে আগে প্রায় হিন্দি বলতেনই না। এখন তাঁকে প্রায়শই হিন্দি বলতে শোনা যাচ্ছে। তিনি হিন্দিভাষীদের মনের কাছাকাছি পৌঁছতে চাইছেন। একইসঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বেরও মনে জায়গা করে নিতে চাইছেন। বঙ্গের অন্য বিজেপি নেতাদের আউট করে নিজেকে বড় নেতা হিসেবে তুলে ধরার সমস্ত গুণই তিনি প্রয়োগ করে দিয়েছেন বংলার রাজনীতির ময়দানে।
মুকুলের হাত ধরে এবার ভাঙন তৃণমূলে! ১৬ বছরের সম্পর্ক ছিন্নের পথে ছাত্রনেতা